বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের এখানেও দিনটি উৎসব আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে। ভালোবাসা নিয়ে আমাদের তারকাদেরও রয়েছে দারুণ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা। প্রথম প্রেম বা প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে মানবজমিনের এ আয়োজনে কথা বলেছেন ক’জন তারকা
তানিয়া আহমেদ
ভালোবাসা দিবসে সবার জন্য আমার অনেক অনেক ভালেবাসা রইলো। সবার মধ্যে পবিত্র ভালোবাসা থাকুক আজকের দিনে এটাই প্রত্যাশা করি। আমার মধ্যে প্রথম প্রেমের অনুভূতি হয় ক্লাস ফাইভের ফাইনাল পরীক্ষার পর।সেই সময় একটি হিন্দি সিনেমা দেখার পর আমার মধ্যে এই অনুভূতি জাগে। এছাড়া প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পাই আমার দূর সম্পর্কের এক মামার কাছ থেকে। তিনি আমাকে প্রথম প্রেমের জন্য প্রপোজ করেন। কিন্তু তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়নি। বর্তমানে আমার সব প্রেম ভালোবাসা আমার সন্তান ও স্বামীর জন্য।
ন্যান্সি
আমার প্রথম প্রেম হলো আমার স্বামী। বিয়ের আগে প্রেম করার মতো কোনো সময় পাইনি। প্রেমের বয়সেই আমি বিয়ে করেছি। বিয়ের এক বছরের মধ্যে মা হয়েছি। ক্যারিয়ার এবং সন্তান নিয়েই আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। স্বামী এবং সন্তানের সঙ্গেই আমার ভালোবাসা। তবে আজকের এই ভালোবাসা দিবস আমার কাছে ভীতির কারণ মনে হয়। নানা রকম অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখা যায়। তবুও আমি প্রত্যাশা করি সবাই সবার ভালোবাসা নিয়ে সুখে থাকবে। ভালোবাসায় মানুষকে বাঁচার জন্য শক্তি প্রদান করে বলে আমি করি।
নাদিয়া আহমেদ
বেশির ভাগ মানুষের মতো আমার প্রথম প্রেমও হয়েছিল স্কুলে থাকতে। কৈশোরের প্রেম যেমন হয়। আমার সেই প্রেমও তেমনি ছিল। প্রথম প্রেমের উচ্ছ্বাস আর উৎকণ্ঠা মানেই অন্য রকম এক অনুভূতি।
তার একটু দেখা পেলেই হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেত। ল্যান্ডফোন থেকে চুরি করে ফোনে কথা বলতাম। আর মনে থাকত ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়। প্রথম প্রেম তেমন সিরিয়াস ছিল না। আসলে লুকোচুরির মজাটাই বেশি উপভোগ করতাম। কে ছিল সে, এটা এখন আর না বলি। ভালোবাসা দিবসে সবার জন্য রইলো আমার অনেক অনেক ভালোবাসা।
বিদ্যা সিনহা মিম
এটা প্রথম প্রেম বলবা কি-না জানি না। তবে আজও মনে পড়ে আমার। ক্লাস এইটে পড়ার সময় অনেকে প্রেম নিবেদন করেছে। সাড়া দিইনি। তখন কুমিল্লায় ছিলাম আমি। কিন্তু অনেকের কথা না মনে থাকলেও আজও আমার এক ক্লাসমেটের কথা মনে পড়ে। কোচিং সেন্টারের সিঁড়িতে আমাকে দেখার জন্য প্রতিদিনই দাঁড়িয়ে থাকত। কিছুদিন পর সে চিঠি দেওয়া শুরু করল। আমার এক বান্ধবী সেই ছেলেটিকে পছন্দ করত। তাকেই সব চিঠি দিয়ে দিতাম আমি। এরপর একদিন অন্যরকম এক চিঠি দিল। সে চিঠি ছিল রক্ত দিয়ে লেখা! এটা দেখে চমকে গিয়েছিলাম। যখন লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম, তখনই এ পর্বের সমাপ্তি ঘটে। এরপর তার সঙ্গে আর কখনও দেখা হয়নি।
মাহিয়া মাহি
উত্তরায় থাকার সময়ের ঘটনা এটি। ছেলের নামটা বলতে চাই না। আমরা যে বাসায় থাকতাম তার উল্টোদিকের বাসায় সেই ছেলেটা থাকত। এলাকায় ছেলেটির বেশ দাপট ছিল। আমি জানতাম না, ছেলেটি আমাকে পছন্দ করে। বিষয়টি ওর বন্ধুরা জানত। ওরা সব সময় আমাকে চোখে চোখে রাখত, কেউ যাতে আমার সঙ্গে দুষ্টুমি না করে। এভাবে কেটে যায় বছর খানেক। এক সময় বুঝতে পারি, ছেলেটি আমাকে পছন্দ করে। আমাকে দেখার জন্য রোজ স্কুল ও বাড়ির সামনে ছেলেটি দাঁড়িয়ে থাকত। একদিন সাহস নিয়ে ছেলেটি আমাকে প্রেমের চিঠি পাঠায়। এটাই ছিল প্রথম প্রেমের চিঠি। এলাকা ছাড়ার পর একটা সময় আমাদের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এটা প্রথম প্রেম কি-না জানি না, তবে সেসময় ছিল এক ভিন্ন অনুভূতি।