কতোবার এরকমটা হয়েছে, মনের মানুষটিকে প্রোপোজ করতে চেয়েও পারছেন না। মনে প্রত্যাখানের ভয়!
যারা এখনো সিঙ্গেল আছেন। বিশেষ করে ভীতু ছেলেমেয়েদের উদ্দেশ্যে বলছি, যদি সত্যিই প্রত্যাখানকে এতো ভয় পান, তাহলে জীবনে প্রেম করার আশা ছেড়ে দিন।
অন্য কোনো সাহসীদের ছেড়ে দিন মনের সুন্দর মানুষকে প্রোপোজ করতে।
চলুন জেনে নেই, প্রোপোজ করার কিছু সহজ টিপস-
নিজেকে তৈরি করুন:
কাউকে পছন্দ করার পরে যখন তাকে আপনার মনের মধ্যে জমা রাখা কথা বলতে যাচ্ছেন, এর আগে আপনি নিজেকে প্রস্তুত করুন।
মনে রাখবেন, এই প্রস্তুতিটা কিন্তু রাতারাতি হয় না। হ্যাঁ, যদি নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে সেটা আপনি একদিন নিশ্চয়ই হতে পারবেন।
নিজের মনকে বদলান:
আগে থেকে অনেকেরই মনের মানুষটি সম্পর্কে নানা রকম ধারণা মনের ভিতরে জমা হয়ে থাকে। সেই গুলোকে মন থেকে দূরে সরিয়ে ফেলুন। একেবারে আলাদা করে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করবেন না।
প্রথম মনের মানুষটির সঙ্গে কথা বলার সময়ে অবশ্যই ভদ্র থাকুন। আবার বেশি ভালো মানুষ হতে গিয়ে নিজেকে ‘ক্যাবলা’ প্রতিপন্ন করবেন না। এ সময় স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন।
স্বাভাবিক ভাবে কথোপকথন চালিয়ে যাবেন। আবার এটাও মাথায় রাখতে হবে বেশি ভয়ে ভয়ে থাকলে কিন্তু আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পাবে না। কাজেই, নিজেকে প্রতিনিয়ত সেভাবে তৈরি করুন।
প্রত্যাখ্যানের প্রস্তুতিও মনে মনে রাখুন:
এখন কী কথাটা বলা ঠিক হবে? সে কী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান? যদি যে পাত্তা না দেয়? মনে রাখবেন জীবনে ঝুঁকি নিতেই হবে।
ঝুঁকি না নিলে জীবনে আপনি কোনো কিছুতেই সফল হবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় হবে কেন? হয়তো সে ‘না’ করে দেবে। কিন্তু সেই প্রত্যাখ্যানকেও সহ্য করতেই হবে আপনাকে।
আর সেটা সব সময়ই মনে রাখবেন। এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে পা ফেলবেন। এক সময় দেখবেন সফল হবেন।
নিজের উপর থেকে চাপ সরান:
আগে নিজেকে ভালোবাসুন। স্বার্থপরতা নয়, বরং নিজের মনের মধ্যে যেন শান্তি থাকে, সেটা খেয়াল রাখুন। কখনোই নিজেকে নিরাপত্তাহীন ভাববেন না দয়া করে।
পাশাপাশি আর একটা কথা মাথায় রাখবেন। আপনি তার ‘মনের মানুষ’ না হতে পারেন, তার ভাল বন্ধু হতেই পারেন। তার কাছে নিজেকে সঠিক ভাবে মেলে ধরুন।
একটা কথা বলে রাখা ভালো- প্রথম ডেটে গিয়ে একটি ছেলে বা মেয়ে সব সময়ই দেখে তার সঙ্গীটি কতটা সুন্দর।
আপনার বাহ্যিক রূপের কথা বলছি। আপনার পোশাক, কথাবার্তা, শরীরী ভাষা- এই সব। স্রেফ সেই পরীক্ষায় ফেল করেও অনেকেই প্রত্যাখ্যাত হয়।