ফুটবল খেলার নিয়মে কোনো খেলোয়াড় লাল কার্ড পেলে তাকে আগামী ম্যাচে খেলতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিশ্বকাপেও এই একই নিয়ম কিন্তু হলুদ কার্ডের ক্ষেত্রে নিয়মটা কিছুটা আলাদা। বিশ্বকাপে এক ম্যাচে হলুদ কার্ড পেয়ে পরের ম্যাচে নিষেধ দেখে ফুটবলভক্তরা কিছুটা হতবাক।
সাধারণত ফুটবল খেলায় হলুদ কার্ড পাওয়া মানে সতর্ক করে দেওয়া হলেও বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে নিয়মটা ভিন্ন। গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত কোনো খেলোয়াড় যদি দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড পান, তাহলে তাকে আগামী ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। আর কেউ যদি একটা হলুদ কার্ড পেয়ে থাকে তাহলে কোয়ার্টার ফাইনালের পর তার কার্ডটি বাতিল ঘোষণা করা হবে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলায় হলুদ কার্ড পেলেও নিষেধাজ্ঞার বাধা থাকবে না। তবে এক ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড পেলে তাকে অবশ্যই নিষেধ করা হবে।
২০১০ সাল থেকে বিশ্বকাপে এই নতুন নিয়ম চালু করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এর আগে বিশ্বকাপের যেকোনো ম্যাচ মিলিয়ে মোট দুটি হলুদ কার্ড পেলে তাকে আগামী ম্যাচে নিষেধ করা হতো। ২০০২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জার্মানির ফুটবলার মাইকেল বালাক হলুদ কার্ড পেলে ফাইনালে তাকে খেলতে নিষেধ করা হয়। কারণ ওই বিশ্বকাপে এর আগেও একটা হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন তিনি।
রাশিয়া বিশ্বকাপে এই নিয়মের জন্য এখন পর্যন্ত নিষেধ হয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবলার ক্যাসিমিরো। আর্জেন্টিনার ফুটবলার মাসচেরানো-বানেগা এই নিষেধাজ্ঞা পেলেও তাদের দল পরের ম্যাচ খেলার আগেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে যায়। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে অনেক খেলোয়াড়ই একটি হলুদ কার্ড পেয়ে এই নিষেধাজ্ঞার মুখে আছেন।