উচ্চ আদালতকে অবহিত না করায় রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা পেয়েও গত ৯ বছর ধরে কারাভোগ করছেন জামালপুরের ৭০ বছরের বৃদ্ধ আজমত আলী।
দীর্ঘ আইনি লড়াই করেও কারাগারের চার দেয়াল থেকে তাকে মুক্ত করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। এই অবস্থায় তারা সহায়তা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের।
এমন ঘটনায় আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পাখিমারা গ্রামের আজমত আলী। ১৯৮৭ সালে গ্রামের একটি মামলায় অনেকের সঙ্গে আসামি হন। কিন্তু মামলার সব আসামি জামিনে বেরিয়ে গেলেও দরিদ্র আজমত আলী থেকে যান কারাগারে।
১৯৮৯ সালে বিচারিক আদালতে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন আজমত। তবে ১৯৯১ সালের কারাবিধির বিবেচেনায় ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পান তিনি। সে সময়ে হাইকোর্টেও খালাস পান আজমত।
আইনজীবীর পিছনে ঘুরে নিঃস্ব পরিবারের সদস্যরা আসেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের অফিসে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা জানান লিগ্যাল এইডের আইনজীবীরা। অমানবিক ঘটনার শিকার আজমত আলীর আইনি প্রতিকার পাওয়ার বিষয়ে পরামর্শও দেন আইনজীবী।
আইনজীবীরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য সবার সতর্ক থাকা উচিত।