খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপন হয় ২৫ ডিসেম্বর। এই দিনের খুব কাছাকাছি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ধার্য না করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন।
৩০ অক্টোবর, মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আহ্বান জানান অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
সভা শেষে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘বড়দিনের খুব কাছাকাছি যেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিন নির্ধারণ না করা হয়, সেজন্য আমরা আবেদন করেছি। কমিশন আমাদের প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে, আন্তরিকতার সঙ্গে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’
এ সময় এক লিখিত বিবৃতিতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা দাবি জানান, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিন ২৫ ডিসেম্বরের খুব কাছাকাছি নির্ধারণ না করার। সম্ভব হলে নির্বাচনের দিন ২০ ডিসেম্বরের আগে কিংবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্ধারণ করতে।
এতে আরও দাবি জানানো হয়, নির্বাচনের আগে ও পরে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোর ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া, যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।
সেই সঙ্গে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে এ ক্ষেত্রে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয় বিবৃতিতে।
৩০ অক্টোবর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের দিন গণনা শুরু হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা বলে আসছে কমিশন।
গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, ৪ নভেম্বর কমিশন সভা শেষে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আগামী ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে নির্বাচন কমিশন।