স্ত্রীকে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট করে খুন করছিলেন তুরস্কের এক যুবক। তখনো প্রাণ যায়নি তাঁর স্ত্রীর। এ সময় খুনি যুবক ফোন করে পুলিশকে বলেন, ‘আমি এখন স্ত্রীকে হত্যা করছি।’ এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েও হতভাগ্য ওই নারীর প্রাণ বাঁচাতে পারেনি পুলিশ। তুরস্কের একটি পত্রিকা গতকাল শুক্রবার খুনির সঙ্গে পুলিশের সেই কথোপকথনের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই যুবকের স্ত্রী খুন হওয়ার এক দিন আগে গত জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান জন্ম দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হন তাঁর স্বামী। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দায়ারবাকির প্রদেশে ঘটনার দিন ঘুমন্ত স্ত্রীর চিবুকের নিচে তার দিয়ে তাঁকে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট করা হয়। এর পরই তিনি ফোন করেন পুলিশকে।
দ্য ভাতান পত্রিকার প্রথম পাতায় হত্যার সময়কালে পুলিশের সঙ্গে সেই কথোপকথন প্রকাশ করে। কথোপকথনটি ছিল এমন:
যুবক: আমি একজনকে হত্যা করেছি।
পুলিশ: তুমি কাকে খুন করেছ?
যুবক: এ মুহূর্তে আমি আমার স্ত্রীকে হত্যা করছি।
পুলিশ: তুমি কি ইতিমধ্যে তাকে হত্যা করে ফেলেছ, নাকি হত্যা করছ?
যুবক: এখনো সে মারা যায়নি। তবে এই হত্যা হালাল হলে আমি তাকে হত্যা করছি।
এরপর পুলিশ কর্মকর্তা ফোনে জানতে চান স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনো ঝামেলা হয়েছে কি না। জবাবে যুবক বলেন, ‘আমি বলছি, আমি তাকে হত্যা করছি। তার পরও তুমি জানতে চাও আমাদের মধ্যে কী ঝামেলা হয়েছে?’ যুবক বলতেই থাকেন, ‘সে মৃত্যুযন্ত্রণায় চিত্কার করছে। আমি তার মুখ বন্ধ করে রেখেছি।’
এর পরই তত্পর হয়ে ওঠেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আচ্ছা, অপেক্ষা কর। আমি পুলিশের একটি ইউনিট পাঠাচ্ছি।’
গত বুধবার আসামি ওই যুবকের আইনজীবী শুনানিকালে আদালতকে বলেন, তাঁর মক্কেল স্ত্রীকে খুন করেছেন, কারণ তাঁর স্ত্রী দ্বিতীয়বারের মতো কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। তবে ওই আইনজীবী পুলিশের সমালোচনা করে আরও বলেছেন, ‘পুলিশের যদি মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা ও প্রশিক্ষণ থাকত, তাহলে হয়তো ওই নারী বেঁচে যেতেন।’
২৯ বছর বয়সী ওই যুবক অবশ্য স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি তুরস্কের কুর্দি-অধ্যুষিত এলাকার একটি হোটেলে বয়ের চাকরি করতেন।