একত্রিশ বছর পর স্বপ্নের পুরুষকে খুঁজে পেলেন ম্যান্ডি অ্যাশফোর্থ। সেই ১৯৮২ সালে তিনি ডেটিং করেছিলেন ব্যারি মোট নামের এক কিশোরের সঙ্গে। তারপর দু’জনের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। কিন্তু ম্যান্ডি তার কৈশোরের সেই প্রেমিককে ভুলে যেতে পারেননি। গত ৩১টি বছর তিনি মনে মনে লালন করেছেন স্বপ্নের সেই পুরুষকে। অবশেষে ফেসবুকে খুঁজে খুঁজে পেয়ে যান তাকে। আবার প্রেম বিকশিত হয় তাদের। আবার নতুন করে প্রেম শুরু করেন। অবশেষে তারা স্বপ্নময় এক বিয়ের আয়োজন করেন। একে অন্যকে গ্রহণ করেন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে। এভাবেই শুরু হয় প্রেমের এক নতুন অধ্যায়। এ ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের সাউথ ইয়র্কের রোদারহ্যামে। ম্যান্ডির বয়স এখন ৪৮ বছর। গত সপ্তাহে তিনি মনের মানুষের সঙ্গে সংসার পেতেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ৩১ বছর আগে আমাদের ছিল এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিন। আমার বয়স ছিল তখন ১৭ বছর। আর ব্যারির বয়স ছিল ১৯ বছর। ইস্ট ইয়র্কশায়ারের উপকূলীয় শহর ব্রাডলিংটনে এক ছুটির দিনে ব্যারির সঙ্গে দেখা আমার। অনেক কথা হয় দু’জনে। আমরা হারিয়ে গিয়েছিলাম প্রেমের এক নতুন ভুবনে। সে আবার আসছে বলে বাড়ি চলে যায়। আমি তার আশায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকি রোদারহ্যাম বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু সে আর ফিরে আসেনি। আমার কাছে তার কোন ঠিকানা বা বাসার নম্বর বা ফোন নম্বর ছিল না। ফলে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। সে ফিরে না আসায় আমার হৃদয় ভেঙে যায়। আমি কাঁদতে থাকি। আর কোনদিন তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। তাকে নিয়ে স্বপ্ন জিইয়ে রাখি। অবশেষে চাকরি নিই সেলস ম্যানেজার হিসেবে। এক পর্যায়ে বিয়ে করি। ৫ সন্তানের মা হই। কিন্তু সারাক্ষণ ব্যারির জন্য হৃদয়ে একটি কাতরতা থেকে যায়। ২০১৩ সালে আমার বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তারপর আমি একেবারে মুক্ত হয়ে যাই। এবার শুরু হয় ফেসবুকে ব্যারিকে খোঁজা। একদিন ঠিকই ব্যারি মোট নামে একজনকে খুঁজে পাই। তার সঙ্গে যোগাযোগ করি ফেসবুকে। প্রথমে তাকে আমি টেক্সট পাঠাই। মেসেজ পাঠাই। এভাবে চলতে চলতে একপর্যায়ে আমরা সাক্ষাৎ করতে একটি তারিখ ঠিক করি। আমাদের সাক্ষাৎ হয়। তাকে দেখে শরীরের প্রতিটি লোম শিহরিত হয়েছিল। আমি অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়ি। আমার সামনে দাঁড়ানো এই ব্যক্তিই ৩১ বছর আগে দেখা সেই ব্যারি! তাকে আমি ভালবেসেছিলাম। তখন ব্যারি তার পার্টনারের সঙ্গে ২৬ বছরের জীবন কাটাচ্ছে। সে এক সন্তানের পিতা। তা সত্ত্বেও আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। অবশেষে গত সপ্তাহে এ নাটকের যবনিকা হয়। তারা দু’জনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।