দেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস এবং ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারগুলোতে ফুল দেয়ার ঘটনার বিষয়ে কটূক্তি করায় স্থানীয় জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন রৌমারী উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেম। এ সময় তার গায়ের পায়জামা পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায় এবং ঈদের নামাজ আদায়ের সময় তিনি পালিয়েও যান। রৌমারী উপজেলার টাপুরচর ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজের আগ মুহূর্তের ঘটনা এটি। বন্দবেড় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও টাপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুল আলম বাদল জানান, ঈদের নামাজ আদায়ের আগে ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেম বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা মুসলমান হয়ে শহীদ মিনারে যে ফুল দেন তা মূর্তি পূজার সমান। তাই কেউ শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাবেন না। এটা হারাম।’ ভাইস চেয়ারম্যানের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়তে আসা অসংখ্য মানুষ। এ নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে নামাজ পড়তে আসা অসংখ্য মানুষ উত্তেজিত হয়ে ভাইস চেয়ারম্যানকে গণধোলাই দেয়। নামাজ শেষে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এই ভয়ে নামাজের সময় ভাইস চেয়ারম্যান পালিয়ে যান। টাপুরচরের মানুষ জানিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেম জামায়াতের একজন সক্রিয় ক্যাডার ছিল। ঈদগা মাঠের খতিব হাফেজ জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা তাকে রক্ষা না করলে উত্তেজিত জনতা তাকে মেরেই ফেলত।’ এ ব্যাপারে জানতে চাওয়ার জন্য ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।