দিল্লির প্রখাত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পিএইচডি’ করতে আসা এক ছাত্রী বেশ কয়েকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সেখানকার এক গবেষকের হাতে ক্যাম্পাসেই তিনি ধর্ষিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে।
চলতি বছর এ নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয়বারের মত এ ধরণের নেক্কারজনক ঘটনা ঘটল।
ওই ধর্ষক সাউথ দিল্লির মুনিরকা এলাকার বাসিন্দা এবং তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এমন কি এ ঘটনায় প্রথম দিকে কোনো এফআইআর পর্যন্ত দাখিল করা হয়নি। যদিও মেয়েটি অনেক আগেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন। এফআইআর না করেই ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় মেয়েটির ধর্ষিতা হওয়ার প্রমাণ পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে ২৫ বছর বয়সী ওই মেয়েটি জানিয়েছে, পিএইডি করতে এসে ওই গবেষকের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। ওই লোক প্রায়ই তার হোস্টেলে আসতেন। একদিন সে মেয়েটির ওপর যৌন নির্যাতন চালান এবং তার মোবাইলে তা ধারণ করে রাখেন। এরপর তিনি মেয়েটিকে তার মুনিরকার ফ্লাটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এরপর থেকে ওই ব্যক্তি তার মোবাইলে তুলে রাখা ভিডিও দেখিয়ে মেয়েটিকে ব্লাকমেইল করতে শুরু করেন। শেষমেষ নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী ধর্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন। তখন পুলিশ অভিযোগকারিনীর বাবা-মাকে থানায় ডেকে এনে একটি সমঝোতার ব্যবস্থা করে দেয়। তখন ওই গবেষক মেয়েটিকে বিয়ে করতেও সম্মত হন। কিন্তু এই পুলিশি সমঝোতার পর মেয়েটির ওপর নির্যাতনের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। ওই ব্যক্তি মেয়েটির সঙ্গে পুনরায় শারিরীক সম্পর্ক চালাতে থাকেন। মঙ্গলবার ওই ধর্ষিতা ফের পুলিশের শরণাপন্ন হন।
এদিকে মেয়েটি থানায় ফের মামলা করার পর সন্দেহভাজন ওই গবেষক পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তার করতে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে পুলিশ। ওই লোক বিহার রাজ্রের পাটনা শহরের স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
গত দু’বছর ধরে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এধরণের যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। স্থানীয় থানায় ইতিমধ্যে ৩৫টি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।