আবারো কলঙ্কিত হলো এবারের মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ। সোমবার রেলিগেশন ম্যাচে মুখোমুখি হওয়া পারটেক্স এস সি ও কলাবাগান কেসি’র ম্যাচে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মাঠ ছাড়ে পারটেক্স এস’সি। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায়, পারটেক্স আর মাঠে না নামায়, ম্যাচ রেফারি কলাবাগানকে কেসিকে জয়ী ঘোষণা করে। ফলে এবারের মৌসুমে অবনমন ঘটে পারটেক্সের।
ঢাকা লিগের রেলিগেশন শঙ্কার ম্যাচ। হারলেই অবনমন। আর জিতলেই রক্ষা। এমন কঠিন সমীকরণ। তাই কলাবাগান কেসি ও পারটেক্সের লড়াইটাও হবার কথা সেয়ানে সেয়ানে। কিন্তু লড়াইটা ওই টস পর্যন্তই। বাকী সময়টা ঘটেছে নানা নাটকীয় ঘটনা। টস জয়ী পারটেক্স ২১ দশমিক ৩ ওভার পর ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারায়। এসময় পারটেক্সের রাজিন সালেহ’র এলবিডব্লিউ এর সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পারটেক্সের অভিযোগ আউট না হবার পরও আম্পায়ার ইচ্ছাকৃতভাবে আউট দিয়েছেন। তাই মাঠে তার প্রতিবাদ জানায় পারটেক্স।
পরে, পারটেক্স মাঠে না ফেরায় ম্যাচ রেফারী বাইলজের ২১ দশমিক ৩ ধারার ‘ক’ উপধারায় কলাবাগান কেসি’কে জয়ী ঘোষণা করেন। ফলে অবনমন হয় পারটেক্সের। উৎসবে মাতেন কলাবাগান কেসি’র ক্রিকেটাররা। যেখানে উল্টো চিত্র পারটেক্সের ক্রিকেটারদের। কিন্তু প্রশ্ন কেন এভাবে মাঠ ছাড়তে হলো পারটেক্স-কে?
অন্যদিকে আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি বিসিবি’র আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল করিম টিংকুর কলাবাগান কেসি। এমন ঘটনার জন্য তাদের অভিযোগের তীর বিসিবি’র টুর্নামেন্ট কমিটির সচিবের বিরুদ্ধে।
তবে, যাদের নিয়ে অভিযোগ সেই আম্পায়ার আবদুল মতিন ও ওয়াহেদকে খেলার পর মাঠে দেখা যায়নি। এবং আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে চাইলে ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলম কথা বলতে রাজী হননি।
যে পিচে খেলা থাকার কথা ছিল সে পিচ নির্জীব শূন্য পড়ে আছে। আর সেক্ষেত্রে জন্ম দিচ্ছে নানা প্রশ্নের। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথচলা ১৪ বছর হতে চলল। আর সেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটের এই বড় আসরে এমন ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দেখিয়ে দিয়েছে কোন পথে যাচ্ছে এদেশের ক্রিকেট। আদৌ কি ঠিকপথে এগুচ্ছে ক্রিকেট? কারণ আম্পায়ারের বিরুদ্ধে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিযোগটি নতুন কিছু নয়।