রাজধানীর ভাটারা থানার নতুনবাজার এলাকায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনভর বাসায় আটকে রেখে স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় গত রবিবার ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত ফরহাদ নামের এক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা নেই। মা একজন আইনজীবী।
ভাটারা থানার ওসি নূরুল মোত্তাকিন কালের কণ্ঠকে বলেন, মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গেই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। রবিবার দেরি হয়ে যাওয়ায় সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, নতুনবাজার ১০০ ফুট রাস্তার অনিমেষ নাগেশ্বরের বাড়িতে ভাড়া বাসায় মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে থাকে। এলাকার পূর্বপরিচিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। গত ৩ জুন সকাল ১০টার দিকে ওই মেয়েটিকে তার বাসায় নিয়ে যায় ফরহাদ। এরপর সারা দিন ধর্ষণ করে। এ সময় ফরহাদ মেয়েটিকে বলে, আমরা কয়েক দিন পরই বিয়ে করতে যাচ্ছি। তাই আজকের বিষয়টি কাউকে বলার দরকার নেই। এরপর ৫ জুন মেয়েটি ফরহাদকে ফোন করে কবে বিয়ে করবে জানতে চায়। এতে ফরহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, তোমাকে বিয়ে করব কিসের জন্য। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ফোনে বাগ্বিতণ্ডাও হয়। পরের দিন ৬ জুন ভুক্তভোগী মেয়েটি তার মাকে ঘটনা জানায়। এরপর মেয়েটির মা থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তারা আরো জানান, গতকাল সকালে ওই কিশোরীকে নিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মেয়েটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়েটিকে ঢাকা মেডিক্যালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।