কোকেন আমদানি হয়েছে বলে ধারণা করছে পরীক্ষক দল। নমুনা সংগ্রহের পর ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ১১টি ড্রাম উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছে।
এই ১১টি ড্রামেই তিন হাজার কোটি টাকার কোকেন থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের। ১০৭টি ড্রামভর্তি কন্টেইনারটি গত ৩০ মার্চ উরুগুয়ে থেকে জাহাজে তোলা হয়। সেখান থেকে সেটি সিঙ্গাপুর বন্দরে যায়। গত ১৩ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর কেউ আর কন্টেইনারটি ছাড়িয়ে নিতে যায়নি।
শনিবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে একটি চোরাচালানচক্র কোকেন নিয়ে আসে বলে খবর পায় নগর পুলিশ। বিষয়টি শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে জানানো হয়। তারা কন্টেইনারটি সিলগালা করে দেয়। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর, পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বন্দরের ৪ নাম্বার গেটের পাশে কন্টেইনারটি খোলা হয়।
কন্টেইনার থেকে ১০৭টি প্লাস্টিকের ড্রাম বের করে আনা হয়। ড্রামগুলোর গায়ে ভোজ্যতেলের লেভেল রয়েছে। তবে তরল কোকেন হওয়ায় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পরীক্ষক দল। তারা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে। এর মধ্যে আকার, ওজনের পার্থক্য ও লেভেলে সাংকেতিক চিহ্ন পাওয়ায় ১১টি ড্রামকে আলাদা করে রাখা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, এক কেজি কোকেনের দাম ৬০ কোটি টাকা। এ চালানে তিন হাজার কোটি টাকার কোকেন আছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এ চালানে কোকেন পাওয়া না গেলেও যারা এ ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রতি এটি একটি সতর্ক সংকেত। তারা বুঝতে পারবে বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, এ চালানে কোকেন আছে বলে তাদের বদ্ধমূল ধারণা। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উন্নত ল্যাবে পাঠানো হবে।
একটি পক্ষ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনারটি পুনরায় রপ্তানির চেষ্টা চালিয়েছে বলেও জানান তিনি। বললেন, কারা এ চেষ্টা করেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কন্টেইনার খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বজলুর রহমান ও নগর পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল ম-ল, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) গোলাম সরওয়ার ও পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আলমগীর কবির।