প্রযুক্তিনির্ভর নাশকতার দিকে ঝুঁকছে দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলো। গড়ে তোলা হয়েছে গবেষণা সেল। এতে কম্পিউটার হ্যাকার ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হয়ে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ জিহাদি গ্রুপ নামের একটি জঙ্গি মোর্চার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
গত ৮ জুন রাজধানী থেকে যে নয় জঙ্গি আটক হয়, তারা অনেকেরই ভ্রু কুচকে দিয়েছে। এরা হরকাতুল জিহাদ বা হুজি, হিযবুত তাহরীর, জেএমবি এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের সসদ্য। গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে, ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে মতাদর্শিক পার্থক্য ভুলে একজোট হয়ে কাজ করছিল ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।
বাংলাদেশ জিহাদি গ্রুপ নামের জঙ্গি মোর্চা গঠন হয়েছে। খোলা হয়েছে গবেষণা, প্রযুক্তি ও বিস্ফোরক সেল। উদ্ধার ল্যাপটপ ও বইপত্র ঘেঁটে পুলিশ জানাচ্ছে, এই জঙ্গি দলে কাজ করছে হ্যাকিংয়ে ওস্তাদ কম্পিউটার প্রোগ্রামাররাও। লক্ষ্য ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিক কোড ভেঙে অর্থ সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ। পুলিশের কর্মপদ্ধতিকে ফাঁকি দেওয়ার কৌশলও এরা রপ্ত করার চেষ্টা করে।
এই জঙ্গি মোর্চার অস্ত্রশস্ত্র অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর চেয়ে আলাদা, আধুনিকও।
বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়সহ অন্যান্য ব্লগার হত্যাকাণ্ডে এসব জঙ্গির সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।