কেরালার মালাপুরামে অবস্থিত কোদিনহি গ্রামটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কারণ, এরই মধ্যে এ গ্রামটি যমজের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখানে আছে এক হাজার যমজ। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর ওই গ্রামে এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও মেডিকেল গবেষকরা ছুটে যাচ্ছেন। তারা যমজদের স্কুল কলেজ, পথে প্রান্তরে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। এতে এসব যমজের অভিভাবকরা উদ্বেগে রয়েছেন। তারা মনে করছেন এতে তাদের সন্তানের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা নতুন করে একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। এর অধীনে আগেভাগে অনুমতি না নিয়ে কেউ তাদের সন্তানদের সউকল বা কোন খোলামেলা স্থানে সাক্ষাতকার নিতে পারবেন না। ধারণ করতে পারবেন না কোন ভিডিও। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার এ নিয়ে নান্নামব্রা গ্রাম্য পঞ্চায়েতে বৈঠক বসেছিল। সেখানে দেখা যায় যে, এ নিয়ে যেসব অভিযোগ আসছে তা গুরুতর। তাই তরা বাচ্চাদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই কমিটির সদস্য করা হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও যমজদের পিতামাতা। এ কমিটি গঠন নিয়ে আগামী ১৫ই জানুয়ারি যমজ সন্তানদের পিতামাতারা একটি বৈঠক আহ্বান করেছেন। এক সপ্তাহ আগে, একটি বহুজাতিক কোম্পানির জন্য বিজ্ঞাপন চিত্রে ব্যবহার করতে ওই গ্রামের যমজদের ভিডিও ধারণ করতে যায় একটি দল। কিন্তু গ্রামের বাসিন্দারা তাদেরকে বাধা দেন। এতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতেই এই কমিটি গঠন হতে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত সভাপতি মুহাম্মদ হাসান বুধবার বলেছেন, একজন মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার যে মৌলিক অধিকার রয়েছে তা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না। তিনি বলেন, পিতামাতার অনুমতি ছাড়া আমরা কোন সন্তানের ওপর কোন ফিচার করতে অনুমতি দিতে পারি না। আমরা যে বিশেষ কমিটি গঠন করবো সেই কমিটির অনুমতি নিতেই হবে এমনটা করার আগে, হোক সেটা সাক্ষাতকার বা ফটোগ্রাফ বা ভিডিও ধারণ। কোন বৈধ কারণ দেখাতে না পারলে বা অভিভাবকদের সম্মতি না থাকলে এ কমিটি এসবের কিছুই করতে দেবে না। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কোদিনহি গ্রামে রয়েছে বিপুল সংখ্যক যমজ। ৪ বর্গকিলোমিটারের এই একটি গ্রামে রয়েছে ৫০০ জোড়া যমজ। সব মিলে তাদের সংখ্যা এক হাজার। এ গ্রামের বাসিন্দা ২০ হাজার। একটি গ্রামেই কেন এত যমজ তা নিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। যারাই শুনছেন তারাই এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছেন।