সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার আগে ঠিক তার পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল হামলাকারী ফয়জুর রহমান। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সে একেবারে নিশ্চিন্ত মনে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় কেউ ভাবতেই পারেনি সে কিছুক্ষণ পরে ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
শনিবার বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেছন দিক থেকে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। হামলার পরপরই হামলাকারী ফয়জুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে রাখা হয়।
ড. জাফর ইকবাল শাবির মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে রোবট প্রতিযোগিতার তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন। মঞ্চে উঠার ঠিক আগে তিনি দর্শক সারির সামনে সোফায় বসেছিলেন। এ সময় পেছনেই হামলাকারী ফয়জুর রহমান দাঁড়িয়ে তাকে ফলো করছিলেন। এ সময় তার ওপর হঠাৎ করেই পেছন থেকে হামলা চালানো হয়। সহকর্মী শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে, হামলাকারী ফয়জুর রহমানের কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালেয়েছে র্যাব ও পুলিশ। এসময় বাড়িটি তালাবদ্ধ দেখতে পায় এই দুই বাহিনী।
বাড়িতে কাউকে না পেলেও পার্শ্ববর্তী মামার বাড়ি থেকে মামা ফজলুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
ফয়জুর মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে মঈন কম্পিউটার নামে একটি দোকানে কাজ করতো বলে জানা গেছে। ফয়জুরের বাবা মাওলানা হাফিজুর রহমান সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পার্শ্ববর্তী টুকেরবাজারে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।
দেশের জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক জাফর ইকবাল বর্তমানে শাবিপ্রবি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।