মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, র্যাব ও একটি সংস্থার লোকেরা তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছেন। গতকাল বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এদিকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একরামুল নিহত হওয়ার আগ মুহূর্তের কথোপকথন ও ওই সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে একটি অডিও টেপ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত অডিও টেপটি তাঁদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।
একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, ‘আমি হলফ করে বলতে পারি, একরামুল হক ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন না। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একরামুল ১২ বছর টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।’মাদকবিরোধী অভিযানে গত ২৬ মে দিবাগত রাতে টেকনাফে গুলিতে নিহত হন একরামুল হক। এ ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পরিবার দাবি করে আসছে, বিভিন্ন তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও একরামুল ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন না। একরামুলের স্ত্রী গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেও একই কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে একরামুল হকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের রেকর্ড সাংবাদিকদের শোনানো হয়। এতে গুলির শব্দ, লোকজনের চিৎকার ও বাঁশির আওয়াজ শোনা যায়।