পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। হাইকোর্টের দুটি শাখার রায়ের পর এমন এক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) সরদার মুহাম্মদ রাজা শনিবার জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। ওই বৈঠকের ফল কি বা কখন অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে জানা যায় নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। এতে সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, মনোনয়নপত্র জমা প্রক্রিয়া শুরুর ঠিক আগের দিন লাহোর হাই কোর্ট নতুন মনোনয়ন ফরম পাশ কাটিয়ে রাখে।অর্থাৎ তারা নতুন মনোনয়ন ফরমে মনোনয়নপত্র জমা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এখানে উল্লেখ্য, নতুন এই মনোনয়নপত্র ইলেকশন অ্যাক্ট ২০১৭ সালে পার্লামেন্ট অনুমোদন করেছে। কিন্তু ওই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে লাহোর হাই কোর্ট এর মান উন্নয়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে কোয়েটার প্রতি বৈষম্য করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে বেলুচিস্তান হাই কোর্ট। এক্ষেত্রে ওই হাই কোর্ট প্রক্রিয়াটি নতুন করে শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শনিবার এ নিয়েই জরুরি বৈঠকে বসছে কমিশন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এখন পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। দু’মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রার্থীরা যখন মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন ঠিক তার আগে হাইকোর্টের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিশনের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। শনিবার থেকেই মনোনয়নপত্র জমা নেয়া শুরু করার জন্য কিন্তু রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তার মতে, নতুন যে মনোনয়নপত্র তৈরি করা হয়েছে তাতে একজন প্রার্থী সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথা থাকে না বলে উল্লেখ করেছে লাহোর হাই কোর্ট। তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে মনোনয়নপত্র আপডেট বা আধুনিকায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, নির্বাচন কিভাবে হবে এবং নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কেমন হবে সেটা একান্তই নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তবে যেহেতু আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন তাই নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। যদি এক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন আনা হয় ফরমে, তাহলে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। কারণ, তাহলে নতুন ফরম ছাপাতে কিছুটা সময় লাগবে। এরপর তা আপলোড করা হবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে।