(স্বদেশ নিউজ ২৪.কম) কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন ‘আমি যা ধরি, তা শক্ত করেই ধরি, ছাড়ি না।’ তাই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবেই। মাদক গ্রহণে ইসলামে ধর্মে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
২ জুন, শনিবার সকালে তার নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর নাকশি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মদ আর জুয়া দিয়ে জিয়াউর রহমান ও এরশাদ এ দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করেছে বলে দাবি করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলে রেসকোর্স ময়দানের ঘোড়দৌড়, রেস খেলা বন্ধ; বাংলাদেশে মদ জুয়া বন্ধ। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই ৩৬০টা মদের লাইসেন্স দিয়েছিল। আর তিনি লাকি খানের ঝাঁকি নৃত্য আর জুয়া, হাউজিং দিয়েছিলেন। এ দেশে জিয়াউর রহমান হাউজিং আনছে। মদ আর জুয়া দিয়ে জিয়াউর রহমান ও এরশাদ এদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করেছে।
এ সময় তিনি আলেম ওলামাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যেদিন জিয়াউর রহমান ৩৬০টা মদের লাইসেন্স দিল তখন তো আপনারা কোনো কথা বলেন নাই। আমরা তখনো বেঁচে ছিলাম, এখনো বেঁচে আছি। এদেশে ইসলামের নামে ভন্ডামী করছে জিয়াউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু আর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে সৎ জীবন যাপনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
শেরপুরে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান কৃষিমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভাতের জন্য কেউ এখনো কষ্ট করে না। আর বিনামূল্যে বই ও বিদ্যালয়গুলোতে নতুন নতুন ভবন দেওয়া হচ্ছে। মেঘ না চাইতেই পানি পাচ্ছে বাংলার মানুষ। কোন দেশ বিনামূল্যে বই দেয়? আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত। তারা তো ধনী দেশ, বড় বড় রাজ্য কিন্তু তারা তো বছরের প্রথম দিন বিনা পয়সায় বই দেয় না। একটা দেশের উদাহরণ দেখান যে তারা বিনা পয়সায় বই দেয়? দেখাতে পারবেন না। একমাত্র শেখের বেটি শেখ হাসিনা পারে বিনামূল্যে বই দিতে।’
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান রিপন, নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকসহ দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির মেধাক্রম অনুসারে প্রথম দশজনের মাঝে একটি করে মোট ১৫০টি সিনথেটিক শাড়ি, ২০৪টি থ্রিপিচ ও মেধাক্রম অনুসারে প্রথম দশজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাঝে ৫শ করে টাকা বিতরণ করেন। এ ছাড়াও দুঃস্থ-অসহায়দের মাঝে একটি করে মোট ৬৮০টি গেঞ্জি, ৪শ টি শার্ট, ৩ হাজার ১২টি শাড়ি ও নিজ তহবিল থেকে খেজুর বিতরণ করেন।