দুর্ঘটনায় লরিচালক আব্দুল করিম ও সহকারী শহীদুল্লাহ আহত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ফায়ার সার্ভিস খুলনার উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনার পর থেকে ট্যাঙ্কার ফেটে গ্যাস বেরোচ্ছে। আশপাশে ছড়াচ্ছে। আমাদের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। আশপাশের এলাকায় আগুন না জ্বালানোর জন্য মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে।
“লরিটি উদ্ধারের সময় ফেটে আরও বেশি গ্যাস ছড়িয়ে পড়ারও আশংকা রয়েছে। সে জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে। তোলার সময় যাতে কেউ সেখানে না আসে সেজন্যও তাদের সতর্ক থাকতে মাইকিং করেছি।”
১৪ চাকার এই লরিটি সাড়ে ১৭ মেট্রিকটন এলপিজি নিয়ে যাচ্ছিল বলে রামপাল থানার ওসি লুৎফর রহমান জানিয়েছেন।
তবে কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা কেউ বলতে পারেনি। দুর্ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে। রান্নাবাড়া করতে না পারায় তারা সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান। এদিকে দুর্ঘটনার পর প্রায় ১৩ ঘণ্টা চলে গেলেও উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি।
যমুনার ব্যবস্থাপক আমিরুল বলেন, ছড়িয়ে পড়া এই গ্যাসে মানবদেহের কোনো ক্ষতি হবে না। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
গ্যাস ছড়িয়ে বড় কোনো দুর্ঘনা যাতে না ঘটে সেজন্য ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুজ্জামান বলেন, বড় কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে সবাই সতর্ক রয়েছে। লরিটি উদ্ধারের সময় আরও সতর্ক থাকা হবে।