করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে মৌলভীবাজারে ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে শ্রীমঙ্গলে ২২ জন, মৌলভীবাজার সদরে ১ জন, কুলাউড়ায় ১ জন, জুড়িতে ১ জন, বড়লেখায় ২ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন রয়েছে। এরা সবাই বিদেশফেরত।
তবে এদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত করোনার কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ নেই। উনারা সবাই মৌলভীবাজারের স্বাস্থ্য বিভাগের নিবিড় তদারকির মধ্যে রয়েছেন।রোববার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত ১০, ১১ ও ১২ মার্চ তিন দিনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে স্থানীয় ছয় ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এদের মধ্যে একজনের টিবি (যক্ষ্মারোগ) নির্ণয় করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিদের অবস্থা ভালো আছে।এ সময় তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গলে এক সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আত্মীয়স্বজনসহ ১৮ জন প্রবাসী শনিবার (১৪ মার্চ) আমেরিকা থেকে দেশে আসেন। খবর পেয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক রোববার (১৫ মার্চ) থেকে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা নিয়মিতভাবে তাদের খোঁজ-খবর রাখছেন। সমস্যা দেখা দিলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল শ্রীমঙ্গলে এসে স্যাম্পল নিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া রোববার রাতে জানান, কমলগঞ্জ উপজেলায় সাতজনকে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বিদেশফেরত যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাস জনিত কোনও সমস্যা আছে কি-না সেটার জন্য তাদেরকে নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। সমস্যা দেখা দিলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল স্যাম্পল নিয়ে যাবেন। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার পূব প্রস্তুতি হিসেবে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে।