একটি ভিডিও নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে চেন্নাইয়ের পুডুচেরিতে। এতে দেখা যায় করোনা ভাইরাসে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির লাশ গর্তে ছুড়ে ফেলছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিন্দুমাত্র মানবিকতা দেখানো হয়নি এক্ষেত্রে। ফলে জনক্ষোভের মুখে প্রশাসন এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পিপিই পরিহিত চারজন ব্যক্তি একটি এম্বুলেন্স থেকে একটি মৃতদেহ নামান। আক্ষরিক অর্থে তারা ওই মৃতদেহকে একটি গর্তে ছুড়ে ফেলেন। এর ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময় পরে একজনকে বলতে শোনা যায়, তারা দেহটাকে গর্তে ছুড়ে ফেলেছেন। এ কথা শুনে পদস্থ কর্মকর্তা তাদেরকে থামআপ বা বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ঠিক আছে বলে সমর্থন দেন।
এতে দেখা যায়, ফ্রন্টলাইনের কর্মীরা কোভিড-১৯ এর প্রোটোকল অবহেলা করেছেন মৃতদেহ নাড়াচাড়া করার সময়। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই মৃতদেহটি একটি সাদা কাপড়ে কোনোমতে মোড়ানো ছিল। এমন ক্ষেত্রে যে প্লাস্টিকের ব্যাগে মৃতদেহ সমাহিত করতে হয় তা মানা হয় নি। যে কাপড় দিয়ে ওই মৃতদেহ মোড়ানো ছিল তার সামনের দিকটা ছিল খোলা। দেহটি ঠিকমতো মাটিচাপা দেয়া হয়েছে কিনা তাও পরিষ্কার জানা যায় নি। পুডুচেরি থেকে সূত্রগুলো বলেছেন, ওই মৃতদেহটি ছিল চেন্নাইয়ের একজনের। তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুডুচেরিতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইন্ডিয়া এগেইনস্ট করাপশন এক বিবৃতিতে বলেছেন, একজন মানুষ মারা যাওয়ার পর তার মৃতদেহ সমাহিত বা তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হতে হবে মর্যাদার সঙ্গে। এটা তার অধিকার। একজন মৃত মানুষকে অবমাননা ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০০ ধারার অধীনে অপরাধ। ওই সুপারভাইজার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা একটি মৃতদেহের সঙ্গে মানহানি করার জন্য শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ইন্ডিয়া এগেইনস্ট করাপশনের প্রেসিডেন্ট ড. এস আনন্দ কুমার এমন কর্মকান্ডকে অপেশাদারিত্ব বলে অভিহিত করেছেন। স্বাস্থ্যবিভাগের সূত্র বলেছেন, ওই মৃতদেহ রাজস্ব কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল সমাহিত করার জন্য।
এ ঘটনায় পুডুচেরির কালেক্টর অরুণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তার ভাষায়, আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মেমো পাঠিয়েছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি এ বিষয়ে তদন্ত করছি। লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদী বলেছেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে।