গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে ফকিরের কেরামতিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারীসহ ৩০ জন। শনিবার রাতে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামে ফকিরের দেওয়া ঝাল-মিষ্টি ও মসলা জাতীয় দ্রব্য খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। এ ঘটনায় রোববার দুপুর পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন ভর্তি হয়েছেন।
রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মলয় কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়া জনিত কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়রা জানায়, শান্তিরাম গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে সাদেক আলীর বিশ হাজার টাকা গত সোমবার ঘর থেকে চুরি হয়ে যায়।
টাকা উদ্ধারের জন্য সাদেক আলী ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম পার্শ্ববর্তী চ-িপুর গ্রামের আমজাদ ফকিরের কাছে যান। আমজাদ ফকির ঝাড়-ফুঁক দেওয়া ঝাল-মিষ্টি ও মসলা জাতীয় দ্রব্য সন্দেহভাজন নারী-পরুষদের খাওয়ানোর জন্য নাজমা বেগমের হাতে তুলে দেন।
শনিবার রাতে নাজমা বেগম সেই ঝাল-মিষ্টি ও মসলা জাতীয় দ্রব্য বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী বাড়ির নারী-পুরুষকে খেতে দেন। এ সময় নাজমা বেগম বলেন, সবাইকে ফকিরের দেওয়া এই ঝাল-মিষ্টি ও মসলা খেতে হবে, যে খাবে না সেই আমার টাকা চুরি করেছে। বাধ্য হয়ে আশপাশের সবাই ফকিরের দেওয়া দ্রব্য খায়। ওই দ্রব্য খেয়ে অনেকেই পাতলা পায়খানা, বমি, পেটে ব্যাথা ও জ্বরে আক্রান্ত হন। খাবার খেয়ে অসুস্থ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রথমে খেতে ঝাল-মিষ্টির মতো লাগলেও পরে টক লাগে। কিছুক্ষণ পরই গাঁ ঝিমঝিম, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাংলানিউজ