এই গরমে স্বস্তির বৃষ্টিরও দেখা দেখে মেলে খুবই কম। এই সময়ে খাবার কিন্তু একেবারেই মেপে খেতে হবে। মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। গরমে খাওয়ার এদিক ওদিক হলেই শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ কারণ এই মওশুমে শরীরের তাপমাত্রা ঠাণ্ডা রাখা একান্ত জরুরি৷
তেল মশলা খাওয়ার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় আর এর ফলেই অসুস্থতার প্রবণতা দেখা দেয়৷ তাই পাঠকদের জন্য কিছু টিপস দেয়া হল।
এক.
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের গরমের দিনে অন্তত তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন৷ পানির সাথে সাথে গরমে শরবত, ফলের রস, দই, দাচ্ছি, হালকা গরম চা বা কফি, হালকা গরম পাতলা স্যুপ, ডাবের জল, কোল্ড কফি বা চা,
এছাড়াও ঠাণ্ডা পানিতে আখের গুড় মিশিয়ে শরবত পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে করে লিভার ভালো থাকে।
দুই.
সকালের জলখাবারে দই-চিঁড়া, ভেজানো ছোলা, ছোলার ছাতু, রুটি খাওয়া যেতেপারে৷ সঙ্গে যেকোন ফল যেমন, আম, কাঠাঁল বা কলা খাওয়া যেতে পারে৷
তিন.
দুপুরে ভাত, প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ডাল, ছোট বা বড় মাছের পাতলা ঝোল খেতে পারেন৷ যেদিন মাছ খাবেন না সেদিন মাংস বা ডিম খাওয়া যেতে পারে৷ তবে যাই খান না কেন সঙ্গে সালাদ অবশ্যই রাখবেন৷
চার.
সন্ধ্যায় শরবত, চা বা কফির সঙ্গে যেকোনো রসালো ফল যেমন, তরমুজ, জামরুল, শসা খেতে পারেন৷ সামান্য পরিমাণে মিষ্টিও খেতে পারেন৷
পাঁচ.
গরমের রাতে ভাত বা রুটির সঙ্গে মাছ, সবজি, ডাল খাবেন৷ দুধ, আমও খাওয়া যেতে পারে তবে অল্প পরিমাণে৷ ভাত খেলে এক কাপ পরিমাণে খাবেন৷
আরো কিছু টিপস
১. দিনে অনন্ত দুই বার স্নান করুন৷ সকালে বের হওয়ার সময় অবশ্যই গোসল করে বের হোন। অফিসে থাকলে দুপুরে যদি সম্ভব হয় হালকা করে পানি দিয়ে গা মুছে নিতে পারেন। তবে রাতে অফিস থেকে ফিরে অবশ্যই আরেকবার গোসল করার চেষ্টা করুন।
২. স্নানের পর পাউডার বা ডিওড্রেন্ট ব্যবহার করুন৷
৩. বন্ধ জুতা পরলে অনেকের ঘামের ফলে পায়ে দুর্গন্ধ হয়৷ নিমপাতা ও হলুদ একসঙ্গে বেটে পায়ে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন উপকার পাবেন৷
৪. রোদে বেরোনের আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ও সানগ্লাস ব্যবহার করবেন৷ আরামদায়ক হালকা রঙের পোশাক পরবেন ও অতিরিক্ত সাজগোজ এড়িয়ে চলুন৷
এ সময় সুতির পোশাক পড়ার চেষ্টা করবেন।
৫. একই কাপড় না ধুয়ে বেশি দিন পরবেন না৷
৬. প্রচুর পরিমাণে রসালো, তরল, পানীয় জাতীয় খাবার খান৷ যেটাই খাবেন সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করুন৷ অতিরিক্ত মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ ত্যাগ করুন, ফুরফুরে মেজাজে থাকুন এতে শরীর সুস্থ থাকবে৷