গিলারমো ওচোয়া, ফ্রান্সিসকো রদ্রিগুয়েজ ও রাফায়েল মার্কেজ; এই নামগুলো কয়েক দিন শীল হয়ে বেঁধে থাকার কথা ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের মনে। এই তিন মেক্সিকানের জন্যই বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে ব্রাজিল। মেক্সিকো যন্ত্রণায় পুড়তে পারে জুলিও সিজারের নামে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকই যে তাদের বঞ্চিত করেছেন দারুণ এক গোল থেকে। যে গোল নিশ্চিত জয় এনে দিতে পারতো তাদের।
১৯৭৮ সালের পর এই প্রথম গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচে গোল দিতে পারলো না ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্রাজিল জিতেছিলো বটে, কিন্তু তাদের জয় নিয়ে অসন্তুষ্টি ঝরেছিলো খেলোয়াড়দের কণ্ঠেই। আরো ভালো করার প্রত্যয় শুনিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ানরা। কিন্তু এ ম্যাচে আরো বেশি হতাশা উপহার দিলো স্বাগতিক ব্রাজিল।
পুরো ম্যাচে সেরা ভূমিকায় ছিলো মেক্সিকোর ডিফেন্স। ব্রাজিল-ওস্কারদের প্রতিটি আক্রমণ দারুণ দক্ষতায় নষ্ট করেছে তারা। রদ্রিগুয়েজ-মার্কেজরা দু একবার ব্যর্থ হয়েছেন। তবে গোলরক্ষক ওচোয়া কোনো ভুল করেননি। একের পর এক গোল বাঁচিয়ে গেছেন এই মেক্সিকান। তার বিশ্বস্ত হাতই মেক্সিকোকে বাঁচিয়েছে এই ম্যাচে।
৮৮ মিনিটে এ ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা সরাসরি মেক্সিকোর গোলবারে হেড করেন। নিশ্চিত গোল ধরে নিয়েছিলেন তিনি নিজেই। কিন্তু বারের নিচে চিনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ানো ওচোয়া গোল হতে দেননি। এমন আরো বেশ কয়েকটি সেভ নজর কেড়েছে পৃথিবীবাসীর।
ব্রাজিলের গোল রক্ষক জুলিও সিজারও একাধিকবার বাঁচিয়েছেন দলকে। মেক্সিকোর তুলনায় ব্রাজিলের ডিফেন্স ছিলো ভঙ্গুর। কিন্তু দুর্বলতা ছিলো মেক্সিকোর স্ট্রাইকিংয়ে। ফলে ভঙ্গুর ডিফেন্স ভেদ করেও গোল আদায় করতে পারেন মেক্সিকো। দু একবার যাও ডিফেন্স ভাগা গেছে, তাও রুখে দিয়েছেন জুলিও সিজার। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে দারুণ এক সেভ করে মেক্সিকোর জয়ের শেষ সম্ভাবনাও মাটি করে দেন তিনি।
সব মিলিয়ে ম্যাচের লড়াইটা হয়েছে মেক্সিকান ডিফেন্স ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডদের মধ্যে। এ লড়াইয়ে নিরঙ্কুশ জয় মেক্সিকোর। তবে ম্যাচ থেকে সমান এক পয়েন্ট করেই পেয়েছে দুই দল। স্বাগতিক ব্রাজিল খেলছে শিরোপা জয়ের প্রত্যাশায়। পক্ষান্তরে আলোচনায়ই নেই মেক্সিকো। এ অবস্থায় ব্রাজিলকে পূর্ণ পয়েন্ট পেতে না দেওয়াটাকেই ছোট-খাট জয় বলে চালিয়ে দিতে পারে মেক্সিকানরা।