খলিলুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার ঃ কিশোরগঞ্জে মিঠাইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের উত্তর পাশে স্রোতস্বিনী হাটুরয়িা নদী এখন শুকিয়ে খেলার মাঠ। এ নদীর তীরে অন্তত:৫০টি সেচ স্কীম রয়েছে। এ সকল স্কীমের আওতায় ১০ হাজার হেক্টর বোরো জমি রয়েছে। পানির অভাবে এ সকল জমি ফেটে চৌচির। পানির সেচের ব্যব¯’া না থাকায় জমি পতিত থাকার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে, কৃষকরা হতাশ। প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহে বীজ তলা নষ্ট হয়ে পঁচে গেছে। সে জমি পরবর্তীতে রোপন করতে পারছে না কৃষকরা। এ পরি¯ি’তিতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কোন কোন জায়গায় নদী খনন করে নীজ উদ্দ্যেগে পানি আনার চেষ্টা চলছে। একটি মাত্র বোরো ফসল এ এলাকায়। যদি সময় মত জমিতে সেচ দিতে না পারে, তবে জমি পতিত থাকবে বলে কৃষকরা জনায়। অন্যদিক নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মালামাল পরিবহন বন্ধ থাকার ফলে, সার ডিজেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পা”েছ। হোসেনপুর স্কীম ম্যানেজার মুখলেছুর রহমান ভূইয়া জানান, নদীতে পানি না থাকার ফলে সেচ কাজ বন্ধ রয়েছে। ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন চৌধুরী ও ঘাগড়া বাজার সেক্রটারী রতন শিকদার, ইউপি সদস্য ফকরুল ইসলাম (খোকন) মিয়ার উদ্দ্যেগে বিগত ২০১৩ইং সনে নদী শুকিয়ে যাওয়ার পর সকল স্কীম ম্যানেজারদের নিয়ে বৈঠক করে প্রাথমিক ভাবে স্কীম ম্যানেজারের নিকট থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা আদায় করা সহ ঘাগড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকেও আর্থিক সহায়তা নিয়ে খালের মুখ কেটে দেওয়া হয়। কিছু দিন এই খাল দিয়ে নদীতে পানি আসলেও পরবর্তিতে একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ঘাগড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক, রতন সিকদার জনান, নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে, নৌ-পরিবহন ব্যব¯’া অচল। বাজারের মালামাল পরিবহন বন্ধ। ঘাগড়া বাজারে প্রায় ৩ শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছে। নৌ-পরিবহন বন্ধের কারণে নিত্যা প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবসায়ীরা আনতে পারছে না, জিনিসের মূল্যে বৃদ্ধি পা”েছ।
ঘাগড়া ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ বোরহান উদ্দিন চৌধুরী জানান,প্রতি বছরেই সেচের সময় আসলে নদী শুকিয়ে যায়। এতে ঘাগড়া ও কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের প্রায় ১৫০০০ হেক্টর বোর জমি পতিত থাকার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বর্তমানে হাটুরিয়া নদীর যে অব¯’া এতে করে আগামী বোর ফসলের উৎপাদন ব্যহত হবে। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ এ এলাকায় পরিদর্শনে আসলে নদীর চিত্র সরজমিনে দেখে যান।প্রতিদিন কৃষকরা ইউনিয়ন পরিষদে এসে ভিড় করছেন। কোন কোন এলাকায় পানির জন্য কৃষকরা কোদাল ও মাটি কাটার যন্ত্র নিয়ে শুকনো নদীতে আহা জারি করছে। তিনি আরও জানান এ পরিষদে ৪ বার চেয়ারম্যান হয়েছেন বিভিন্ন সময় এ নদী খননের বিষয়ে নানাবিধ চেষ্টা করেও কোন সুফল পা”েছ না। অচিরেই ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী খনন করা না হলে এ এলাকার দুটি ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক সর্বশান্ত হয়ে পরবেন বলে তিনি আশংকা করছেন।