বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতেছে প্রায় ১০ বছর হয়ে গেল। ২০০৫ সালের ১০ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। চট্টগ্রাম টেস্টে হাবিবুল বাশার সুমনের নেতৃত্বে ম্যাচ জয়ের নায়ক হয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। প্রথম টেস্ট জয়ের পর ১০ বছর পার হলেও মাত্র ৭টি টেস্টে জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিনটিই গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। প্রথম টেস্ট জয়ের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন, বাংলাদেশের যতটুকু এগোনো প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে কম ম্যাচ খেলাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
প্রথম টেস্ট ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে শনিবার হাবিবুল বাশার বলেন, ‘কিছু ঘটনা সব সময়ই অন্যগুলোর চেয়ে আলাদাভাবে মনের মধ্যে জমা হয়ে থাকে। আমাদের প্রথম টেস্ট জয়টাও অন্যগুলোর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। ২০০০ সালে আমরা টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করি। কিন্তু প্রথম জয় পেতে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর এই জয়টা আমার জন্য ছিল খুবই স্পেশাল। ওই সময়ে একটা জয় আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিল। অবশেষে আমরা পেলাম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক জয়। ওই জয় আমাদের জন্য যেমন স্বস্তি এনে দিয়েছিল, তেমনি আনন্দেরও ছিল।’
২০০০ সালে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ ৮৮ ম্যাচ খেলেছে। তবে জয় মাত্র ৭টিতে। ৭টি জয়ের মধ্যে ৫টি জিম্বাবুয়ে এবং ২টি খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১৪ বছরে বাংলাদেশের যতটুকু এগোনো দরকার, ততটুকু কি এগিয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘২০০০ থেকে ২০১৪ সময়টা বেশ লম্বা। হয়তো আমাদের যতটুকু এগোনো প্রয়োজন ছিল, ঠিক ততটুকু এগোতে পারিনি। তবে আমরা যখন টেস্ট ক্রিকেট শুরু করেছি, তখন অন্য দলগুলো অনেক অভিজ্ঞ ছিল। ফলে এই সময়ের মধ্যে আমরাও উন্নতি করেছি। তবে অন্যান্য দল যেভাবে উন্নতি করেছে, আমরা সেভাবে উন্নতি করতে পারেনি। তাই পার্থক্যটা এ কারণেই হয়েছে।’
ক্রিকেটাররা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পায়। মাঠ এবং পরিবেশ_ সবকিছুই উন্নতি হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় টেস্টে উন্নতি হয়নি কেন_ জানতে চাওয়া হলে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তিনটি ম্যাচেই জিতেছি। যে দলই হোক না কেন, টেস্টে তিনটি ম্যাচে জয় পাওয়া কম কথা নয়। তবে আমাদের যে পরিমাণ টেস্ট খেলার কথা ছিল, আমরা সেভাবে খেলতে পারিনি। বেশি টেস্ট খেললে আমাদের আরো উন্নতি হতো।’