ওবায়দুল ইসলাম রব্,িরাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ব্যাপক হারে বাড়ছে মশার উপদ্রব। মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে আবাসিক হলগুলোতে প্রচন্ডভাবে মশার উপদ্র“ব দেখা দিয়েছে। ফলে ভালোভাবে পড়া-শুনা করতে পারছেন না বলে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন। একই সাথে লেখা পড়ার পাশাপাশি শারিরিকভাবে মারাতœক ক্ষর্তিগ্র¯’ হ”েছন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। মশার কামড়ে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।এ দিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) ছয়মাস ধরে নেই মশা নিধনের ঔষধ। আবার এরই মধ্যে শুরু হয়েছে মশার প্রজনন কাল। কয়েল লাগিয়ে ও র্হোই পা”েছন না । ফলে সাধারন শিক্ষার্থীরা পড়েছেন মারাতœক বিপাকে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে জুবেরী মাঠ, শহীদ মিনার, ইবলিশ চত্বর,পশ্চিম পাড়া সহ সব আবাসিক হল গুলোর সামনে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। মশার কারণে এসব ¯’ানে সন্ধ্যার পর ভালেভাবে আড্ডা দিতে পারছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সাথে ক্যাস্পাসে বৃদ্ধি পেয়েছে ঝোপ-জঙ্গল এবং ড্রেনে ময়লার পরিমান। এসব জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত মশার উৎপত্তি হ”েছ। আবাসিক হলগুলোতে রান্না করার পর ময়লা ফেলানো হলেও কিন্ত প্রতিদিন এসব ময়লা পরিস্কার না করায় সেখানে মশা-মাছি প্রচুর পরিমান দেখা যা”েছ।
মশার কামড়ের পাশপাশি শিক্ষার্থীরা শারিরিকভাবে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তাই মশার কামড় থেকে বাচঁতে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা হলে মশারি টাঙ্গিয়ে নিজ রুমে পড়াশনা করতে হ”েছ বলে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।
রঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের বলেন, মশার উপদ্র“বের কারণে আমাদের পড়াশুনা ও শারিরিকভাবে ক্ষতিগ্র¯’ হ”েছ। তাই এ বিষয়টা দেখে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যব¯’া নেবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।’
একই ভাবে রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তানিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, প্রচন্ড মশার কারণে কয়েল জালিয়ে পড়াশুনা করতে হ”েছ। আমরা মশার হাত থেকে রেহাই পেতে চাই।’এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ছাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, আমি বিষয়টি অনুধাবন করেছি। কিন্ত মশা নিধন ¯েপ্র প্রয়োগ করা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ না। এটি মূলত রাজশাহী সিটি করপোরেশন প্রতি বছর যখনই মশার উপদ্রব হয় তখনই তারা ¯েপ্র প্রয়োগ করে থাকে। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের সাথে যোগাযোগ করছি।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল হক বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ¯েপ্র ঔষধ আসে নি। তবে দুই একদিনের মধে ঔষধ আসবে বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন। ঔষধ আসলে আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালিয়ের প্রতিটি আবাসিক হল ও জঙ্গলে প্রয়োগ করবো।’