কক্সবাজার প্রতিনিধি :
টেকনাফে ২য় বিয়েতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে যৌনাঙ্গে মরিচের গুড়ো ঢুকিয়ে দিয়েছে পাচান্ড স্বামী। টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুর বাজারে ১১ সেপ্টেম্বর সকালে ঘটেছে মধ্য যুগীয় নির্যাতনের এই ঘটনা। এহেন জঘন্য ঘটনার পর নরপশু স্বামীকে হাতের কাছে পেয়েও রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দিয়েছে শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। আরও রহস্যজনক ব্যাপার হচ্ছে- স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সচেতন মহল ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নির্যাতিত অসহায় নির্যাতিত গৃহবধুর সাহায্যে এগিয়ে না এসে বরং তা ধামাচাপা দিতে তৎপর রয়েছেন। এমনকি বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়া সত্বেও গভরি রাত পর্যন্ত মিডিয়াকর্মীকে জানতে দেওয়া হয়নি। স্থানীয় ও অতি নিকটস্থ পুলিশ পর্যায়ে কোন ধরণের বিচার হতে না দেখে বরং পাষান্ড স্বামী পুলিশ কেন্দ্র থেকে নির্ভয়ে বেরিয়ে আসার পর তা ক্রমে গভীর রাতে মিডিয়াকর্মীদের কাছে পৌঁছে। গভীর রাতে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানা না গেলেও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে- উখিয়া উপজেলার কোটবাজারের ডিশ লাইনের ব্যবসায়ী বেদার স্ত্রীসহ (নাম পাওয়া যায়নি) শামলাপুর বাজারে ভাড়া বাসায় অবস্থান করে ব্যবসা চালান। শামলাপুরের এক কোম্পানীর আতœীয়কে বিয়ে করার প্রস্ততি নিলে স্ত্রী বাধা দেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্ত্রীকে উলঙ্গ করে হাত-পা বেঁধেযৌনাঙ্গে মরিচের গুড়ো ঢুকিয়ে দেয়। স্ত্রীর শোর-চিৎকারে নিকটস্থ ইউসুফ সওদাগরসহ (০১৮২১৮১৮১২০) স্থানীয় লোকজন (নারী-পুরুষ) জড়ো হয়ে নির্যাতিত গৃহবধুকে উদ্ধার করে গোসল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ঘটনাস্থলের অতি নিকটেই পুলিশ কেন্দ্র। এতবড় জঘন্য ঘটনার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্ত নেয়া হয়নি। খবর পেয়ে টেকনাফ থেকে একজন মিডিয়াকর্মী ফোনে জনপ্রতিনিধি, টেকনাফ মডেল থানার ওসি, শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের আইসিকে অবহিত করেন। প্রকাশ্য দিবালোকে, দিন-দুপুরে এবং জনাকীর্ণ বাজারের পাশে এহেন জঘন্য ঘটনার পর নরপশু স্বামীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিরীহ সর্বসাধারণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে।