মোহাম্মদ রুবেল : বিশ্বে চামড়া পণ্যের বাজার ২২ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এ শিল্পে ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচশ কোটি ডলার। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ৮০০ কোটি ডলার এবং ২০৪১ সালে এই খাত থেকে আয় হবে ২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা পরিবেশগত ক্ষতি ও নেতিবাচক শ্রম পরিবেশ। এ প্রেক্ষিতে চামড়া শিল্পে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ তৈরিতে রাজধানী থেকে সাভারের চামড়া পল্লীতে ট্যানারি স্থানান্তরও করা হয়েছে। কিন্তু এখনোও পর্যন্ত সাভারের চামড়া শিল্পের সিইটিপি এখনো পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে দেশিÑবিদেশি বিনিয়োগ কারিরা বিনিয়োগ করতে পারছে না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দোহাই দিয়ে আসছে না ইউরোপের ক্রেতারা। ফলে রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানায়।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো জানাায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি ডলার। গত অর্থ বছরে (২০১৭-১৮) চামড়া ও চামড়া পণ্য থেকে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩৮ কোটি ডলার। কিন্তু এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে ১০৮ কোটি ডলার। অপর দিকে ২০১৬- ১৭ অর্থ বছরে আয় হয়ে ছিল ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চামড়া শিল্প থেকে আয় হয়েছিল ১৩৮ কোটি এক লাখ মার্কিন ডলার। পরের অর্থবছরে আয় হয়েছিল ১২৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছিল ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার ও এর আগের অর্থবছরে এই আয় ছিল ১১২ কোটি মার্কিন ডলার।
ইপিবি আরও জানায়, সরকারি হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রাপ্ত ৩০ কোটি বর্গফুট চামড়ার মধ্যে গরুর চামড়া ৭০ লাখ পিস, ছাগল এক কোটি পিস এবং মহিষ ও ভেড়ার চামড়া ১৫ লাখ পিস। দেশে অভ্যন্তরীণ চামড়ার চাহিদা ২ দশমিক ৭৫ কোটি বর্গফুটের মতো। আর বাকিটা রফতানি হয়।
বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান আমাদের অর্থনীতিকে জানান, পর্যাপ্ত কাঁচা চামড়া না পাওয়ায় রফতানি সম্ভাবনাকে আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছি না। কিন্তু পর্যাপ্ত চামড়া রফতানি করা গেলে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে আমাদের বৈদেশিক আয় ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন মহাসচিব টিপু সুলতান আমাদের অর্থনিিতকে জানান, সাভারের ট্যানারি পল্লীতে সিইটিপি এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। গড়ে ওঠেনি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ফলে চামড়া পল্লিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রেক্ষিতে ইউরোপের ক্রেতারা ফেরত যাচ্ছে।