রাজশাহী প্রতিনিধিঃ-
রাজশাহীর বাঘায় ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি চার যুগ এবং বাঁকিগুলো এক যুগেও এমপিওভুক্ত হয়নি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কোনো বেতনভাতা পাচ্ছেন না। ফলে তাদের পরিবারে চলছে চরম দুর্ভোগ।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাঘায় বেসরকারি পর্যায়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মিলে ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির অপোয় ছিল। এর মধ্যে ১১ টিএমপিও ভুক্ত হলেও ১৩টি আজো এমপিও ভুক্ত হয়নি। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি, মাদ্রাসা ছয়টি, মহাবিদ্যালয় দু’টি, বিএম কলেজ তিনটি ও একটি আলিম মাদ্রাসা রয়েছে। সূত্র মতে, শর্তাবলি পূরণের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি নেয়া, অবকাঠামো নির্মাণ ও শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হয়ে গেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের। ফলে কেবল টিউশন ফীর ওপর নির্ভরশীল এসব প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এমপিও ভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠান গুলো হলো সুলতানপুর গোরস্থান দাখিল মাদ্রাসা, জোতকাদিরপুর দাখিল মাদরাসা, আড়ানী দাখিল মাদ্রাসা, খানপুর দাখিল মাদ্রাসা, পারসাওথা আলিম মাদ্রাসা (আলিম শাখা), বানিয়াপাড়া নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনিগ্রাম আদর্শ মহাবিদ্যালয়, ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের (বিএম ও কৃষি শাখা) আবদুর রহমান কারিগরি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, তেথুলিয়া পীরগাছা বিএম কলেজের ভোকেশনাল ও এইচএসসি (সাধারণ শাখা)। সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে এসব প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে আড়ানী দাখিল মাদরসাটি চার যুগেও এমপিওভুক্ত হয়নি। ইতোমধ্যেই এ প্রতিষ্ঠানের অনেকে অবসরে চলে গেছেন এবং অনেকেই অবসরের পথে বলে জানা গেছে।
সুলতানপুর গোরস্থান দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুল মান্নাফ জানান, বেতনভাতা ছাড়া চাকরি করছি। এটা কাউকে বলা যায় না। আমাদের সংসারও চলে না।