যিনি আল্লাহর ইচ্ছার ওপর রাজি-খুশি বা ফানা হয়ে যান তাকেই সুফি বলা হয়; যা সুফি দর্শনে ফানা আনিল এরাদা বলা হয়ে থাকে। সুফিদের ইহলৌকিক ও পরজাগতিক কোনো বস্তুর প্রতি আকাক্সক্ষা
মহান আল্লাহ বলেন, মানুষের হিসাবের সময় সন্নিকটে, অথচ তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ১) তাফসির : এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন, মানুষের কৃতকর্মের হিসাব গ্রহণের সময় অর্থাৎ
মুসলমান হতে হলে ছয় বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। এগুলো ঈমানের স্তম্ভ। বিষয়গুলো হলো— ১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস : আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক,
বলার অপেক্ষা রাখে না, মানুষই সৃষ্টির সেরা। প্রথম শ্রেণির মানুষ হলেন নবী-রাসুলরা। নবী-রাসুলের মধ্যে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। এরপর তাঁর পরিবারবর্গ (আহলে বাইত), তারপর সাহাবিরা, তারপর
আল্লাহ ফেরেশতাদের বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত করে রেখেছেন। কোরআন ও হাদিসে তাঁদের কাজের কিছু কিছু বর্ণনাও পাওয়া যায়। এর বাইরেও আল্লাহর অসংখ্য ফেরেশতা এমন আছেন, যাঁদের সংখ্যা ও কাজ মহান আল্লাহ
মহান আল্লাহ মানবজাতিকে হালাল উপার্জন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মানবজাতি, তোমরা পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার করো, আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না,
সম্পদ আল্লাহর দান। কাজেই মুসলমানদের জন্য আল্লাহর নির্দেশিত পথে সম্পদ ব্যয় করা আবশ্যক। নিম্নে সে সংক্রান্ত নীতিমালা উল্লেখ করা হলো— ১. সম্পদের ওপর ইসলামী শরিয়ত যেসব দায়িত্ব অর্পণ করেছে, সম্পূর্ণ
কোনো মুসলমানের ঘরে যখন কোনো নবজাতকের আগমন ঘটত তখন সর্বপ্রথম তাকে বংশের কিংবা মহল্লা, গ্রাম ও এলাকার কোনো বুজুর্গের কাছে নেওয়া হতো। তিনি নবজাতকের ডান কানে আজান ও বাম কানে
যার কথা বেশি তার বিপদ বেশি। বিনা প্রয়োজনে কথা বলা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা পরিহার করা মুমিনের কর্তব্য। কেননা এটা আল্লাহর অসন্তোষের কারণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ
ফেরেশতারা আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি। আল্লাহ তাঁদের বিশেষ ক্ষমতা ও দায়িত্ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাঁরা সবাই আল্লাহর অনুগত। তবে ফেরেশতাদের মধ্যে কতিপয় ফেরেশতাকে আল্লাহ বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। কোরআন ও হাদিসের
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো, সৎকর্ম করা। যে মুমিন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একনিষ্ঠভাবে সৎকর্ম করবে, মহান আল্লাহ তাকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ দান করার ঘোষণা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার জন্য অর্থের জোগান দিতে হবে। সে জন্য আল্লাহ তাআলাও রিজিক অনুসন্ধানের জন্য আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর নামাজ শেষ
খাবার পানির সঠিক ব্যবস্থা করে ও কোনো ধরনের কষ্ট না দেওয়ার শর্তে খাঁচায় বন্দি করে পাখি পোষা জায়েজ। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৪/৪৫৪, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/১৭৩)
বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে একটি ঈমানঘাতী মারাত্মক রোগ হলো আত্মমুগ্ধতা। এটি মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। দুনিয়ার জীবনে মহান আল্লাহ আমাদের অনেক নিয়ামত দিয়েছেন, আমাদের উচিত এগুলো নিয়ে
মেহমানদারি করার ক্ষেত্রে শরিয়ত কিছু নিয়ম ও আদব শিক্ষা দিয়েছে। যেমন— এক. মেহমানকে অভ্যর্থনা জানানো। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মেহমানদের অভ্যর্থনা করার বিবরণ হাদিসে এসেছে। (দেখুন : বুখারি, হাদিস : ৬১৭৬)