অতিমাত্রায় খাটো স্কার্টস ও চাপা ব্লাউজ পড়তে আপত্তি জানিয়েছে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েসের বিমানবালারা। তারা এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, এধরনের আটোসাটো স্কার্ট পড়ে বিমানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রায়শ: অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। বিমানবালাদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে এব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে বলেছে এধরনের পোশাকের কারণে তাদের যৌন হয়রানির মুখে পড়তে হয়। নারী ক্রেবিন ক্রুরা পর্যন্ত বলেছেন, এধরনের পোশাক শারীরিকভাবেও বেশ অস্বস্তিকর।
ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েস ফ্লাইট এ্যাটেনডেন্টস ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়ান ইয়াউ বলেছেন এধরনের আটোসাটো ইউনিফর্ম যৌন হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, বিমানবালাদের অনেকেই আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, বিমানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একটু উবু হলে তাদের বুকের উপস্থিতি স্পষ্ট হয়ে পড়ে কেননা বেশ চাপা ব্লাউজের কারণে তাদের এধরনের অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। ২০১১ সালে এধরনের ইউনিফর্ম চালু করে ক্যাথে এয়ারওয়েস।
জুলিয়ান ইয়াউ আরো বলেন, ইউনিফর্ম শুধু যে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বের পরিচায়ক তা নয়, একই সঙ্গে তা পেশাগত আস্থার ব্যাপারও বটে। তাই ক্যাথের বিমানবালারা চাচ্ছেন তাদের স্কার্ট আরো দীর্ঘ এবং ব্লাউজ ঢিলেঢালা করা হোক। সত্যিই আশা করছি ক্যাথে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নজর দেবেন।
এদিকে সাউর্থান চাইনিজ সিটির ইকুয়াল অপরচুনিটিস কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে এক জরিপ করে দেখতে পেয়েছে যে, গত এক বছরে হংকং’এর ২৭ ভাগ বিমানবালা বিমানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যৌন হয়রানির মুখে পড়েছেন। জরিপে অংশ নেন এমন ৩৯২ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৮৬ ভাগ বিমানবালা শিকার করেন তারা বিমানে কাজ করার সময় যৌন হয়রানির মুখে পড়েছেন।
তারা এও বলছেন, বিমানে পেশাগত কাজের সময় একধরনের উম্মত্ত যাত্রীরা তাদের গায়ে হাত দেয়া, চিমটি কাটা, বাজে গল্প বলা বা নিজেকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে থাকে। ক্যাথের বিমানবালার বলছেন যেহেতু বিমানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এধরনের বাজে অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে না হয়, সে জন্যে পোশাক একটা বড় ভূমিকা পালন করে বলে আমরা মনে করি। তবে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েসের পক্ষ থেকে এব্যাপারে এখনো কিছু বলা হয়নি।