পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ২০১৭ সালে বৈশ্বিক সংকট ব্যবস্থাপনার মানবিক ও অর্থনৈতিক ব্যয় ২৩ দশমিক ৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে, যা ছিল সর্বোচ্চ। আর বাংলাদেশে এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা আশ্রয়দানের ফলে মানবিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যয় বেড়েছে।
গতকাল বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের সাধারণ আলোচনায় মো. শাহরিয়ার আলম এ কথা বলেন। নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’—আমাদের পররাষ্ট্রনীতির এই মূলমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ জন্মলগ্ন থেকেই শান্তির সংস্কৃতির প্রবক্তা। ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় জাতিসংঘে উত্থাপন করার পর বাংলাদেশের এই প্রস্তাব ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এজেন্ডাভুক্ত হয়, যা ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ‘ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন অন কালচার অব পিস’ শিরোনামে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইউনেস্কোর শুভেচ্ছাদূত ড. রিগোবার্তা মেনচু তুম। স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিরোস্লাভ লাইচ্যাক।
জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে বক্তব্য দেন তাঁর শেফ দ্য কেবিনেট মারিয়া লুইজা রিবেইরো ভিয়োট্টি।
‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এই ফোরামের দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে ‘শান্তির সংস্কৃতি : টেকসই শান্তির নিশ্চিত পথ’ শিরোনামে এক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিজ রোজম্যারি এ ডিকারলো, মেক্সিকোর স্থায়ী প্রতিনিধি জুয়ান জোসে গোমেজ ক্যামাচো, কেনিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি লাজারুস ওমবাই অ্যামায়ও, প্রখ্যাত শান্তিবিষয়ক শিক্ষাবিদ মিজ মারিয়ে পাওলি রোওডিল এবং অধ্যাপক মিজ র্যাচেল অ্যালেন।