আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা জেলা বিএনপি নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সরকারকে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও সদর উপজেলা কমান্ড। তার মুক্তিযুদ্ধ করার বিষয়টি তদন্ত প্রমাণিত না হওয়ায় পূর্বতন জেলা ও উপজেলা কমান্ডের পক্ষ থেকে এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উক্ত আব্দুল মান্নান সরকারসহ তার দলভূক্ত কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা থেকে কল্যাণ তহবিলের নামে চাঁদা আদায়সহ গাইবান্ধা সদর উপজেলা কমান্ডের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির সম্পুর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট, মনগড়া ও উদ্দেশ প্রণোদিত মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক, গাইবান্ধা শাখার ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস প্রদত্ত চেয়ারে বসে ও তার সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে রশিদ মুলে ও রশিদ ছাড়া চাঁদা আদায়ের কথা সম্পুর্ণ সাজানো ও মিথ্যা অপপ্রচার বলে জানানো হয়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এবং পূর্বের সুপারিশ মোতাবেক উক্ত আব্দুল মান্নান সরকারের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট থেকে বাতিল করাসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গাইবান্ধা সদর উপজেলা কমান্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন নবনির্বাচিত সদর উপজেলা কমান্ডার আলী আকবর মিয়া। এতে উলে¬খ করা হয় গঠনতন্ত্রের সংসদ তহবিল সংক্রান্ত ধারা ২৬ এর বিধান মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের শিক্ষা, চিকিৎসা, কন্যা দায়গ্রস্তদের সাহায্য, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার লক্ষ্যে গাইবান্ধা উপজেলা কমান্ডের তহবিল গঠন কল্পে সংসদের সভায় সহৃদয় ব্যক্তি যারা স্বেচ্ছায় এককালিন দান করতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে বিধি অনুসারে রশিদের মাধ্যমে এককালিন দান আদায়ের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মোতাবেক জেলা ইউনিট কমান্ডারের অনুমতিক্রমে উপজেলা কমান্ডের তহবিল গঠনকল্পে যথারীতি রশিদমুলে এককালিন দান গ্রহণ করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের সংশি¬ষ্ট ধারা মোতাবেক সমুদয় অর্থ যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত সোনালী ব্যাংকের ডিবি রোড শাখার হিসাব খাতে জমা রাখা হয়েছে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খয়বর হোসেন মন্ডল,মজিবর রহমান, বাদশা মিয়া, আবু তাহের মিয়া, হাজী হুমায়ন, রাজা মিয়া, আইনুল হক, মাহমুদুর রহমান, আজাহার আলী, শেখ ফরিদ, গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী, নয়া মিয়া, ইমান আলী, ওসমান গণি, আইনুল হক, হাসান আলী, হায়দার আলী, মজিবর রহমান, আব্দুর রউফ, আমিনুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ, আশিষ কুমার সরকার, চান মিয়া, দবিরুল ইসলাম, উপেন্দ নাথ, মকবুল হোসেন, সোহরাব আলী প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ডের আওতাধীন বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।