খেলা শেষেই উজ্জীবিত মেয়েদের অভিনন্দন জানাতে মিক্সড জোনে হাজির ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মালেকা-পলিদের অভিনন্দন জানিয়ে সেমিফাইনালে ইরানকে হারানোর উৎসাহ যোগান নড়াইল এক্সপ্রেস। স্বপ্নের ক্রিকেটারদের দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মালেকা-পালিরা। কেউ ছুটে যান ছবি তুলতে, কেউবা হাত মেলান মাশরাফির সঙ্গে। মাশরাফিও কাবাডি খেলোয়াড়দের ডাকে সাড়া দিয়ে ছবি তোলেন। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন ও সরকারের কাছে কাবাডি খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধও করেন তিনি। আগের দিন অনুশীলনের ফাঁকে কাবাডি দলের খোঁজ নিচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। গতকাল তিনিও ছুটেই এসেছেন জিমনেশিয়ামে। বৃষ্টির কারণে অনুশীলন বাতিল হওয়ায় অধিনায়ক মাশরাফি, সাকিবের সঙ্গে ছিলেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়, শামসুর রহমান শুভও।
গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিমনেশিয়ামে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে হাজির হন এই চার ক্রিকেটার। এখানেই স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে খেলছিল বাংলাদেশ মহিলা কাবাডি দল। প্রথমার্ধে ১৪-১১ পয়েন্টে এগিয়েও ছিল মেয়েরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সাকিব-মাশরাফির উপস্থিতিতে উজ্জীবিত মেয়েরা আরও ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে জয় নিশ্চিত করে।
ক্রিকেটারদের উপস্থিতিকে বড় পাওয়া হিসেবে দেখছেন শেফ দ্য মিশন শেখ বশির আহাম্মেদ মামুন। তিনি বলেন, মেয়েদের ক্রিকেটের ফাইনালে যদি সাকিব-মাশরাফিরা থাকতো তবে ক্রিকেটেও স্বর্ণ জিততাম আমরা। কাবাডিতে ব্রোঞ্জ জেতায় মাশরাফি বলেন, এসব গেমসে আমরা এমনিতেই পদক পাই না। সেখানে কাবাডির মেয়েরা ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করায় খুবই ভাল লাগছে। আশা করছি সেমিফাইনালে ইরান বা থাইল্যান্ড যাদের সঙ্গে খেলাই হোক না কেন তাদের হারিয়ে ফাইনাল খেলবো আমরাই।
মাশরাফির মতে বিওএ’র উচিত যে সব ইভেন্টে একটু চেষ্টা করলেও পদক পাওয়া যায়, ওইসব ইভেন্টে জোর দেয়া। সকালে মাশরাফি-সাবিকরা মহিলা দলের জয় দেখে ফিরলেও, বিকালে হতাশ হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ ও ম্যানেজার জালাল ইউনুস। বিকালে পাকিস্তান- বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে সংদোর গ্লোবাল জিমনেশিয়ামে এসেছিলেন এরা।