বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল
একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান আবদুস
সালামকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের
একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত
এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী দাবি করেন, ইটিভির
সম্প্রচার বন্ধ করা হয়নি। এ
ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত
বা নির্দেশনাও নেই। কোনো পাড়া-মহল্লায়
যদি ইটিভি দেখা না যায়,
তবে তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
আজ সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)
গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার
মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের
২৬ নভেম্বর এক নারী বাদী হয়ে রাজধানীর
ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ
আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায়
সালামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওই নারীর অভিযোগ, তাঁকে জড়িয়ে গত বছরের
নভেম্বরে ইটিভিতে একটি অনুষ্ঠান প্রচার
করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় চারজনের নাম
উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বাদীর ধর্মভাই
জহিরুল ইসলাম, সাবেক স্বামী শাহ জালাল,
জালালের বোনের স্বামী জাকির হোসেন ও
ইটিভির সাংবাদিক মো. ইলিয়াস।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই মামলায় তদন্তের
স্বার্থে সালামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তাঁকে ডিবির কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
চ্যানেলটির অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক তারিক
তাবিবের ভাষ্য, বাসায় যেতে আজ ভোররাত
সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান
বাজারে ইটিভির প্রধান কার্যালয়ের নিচে নামেন
সালাম। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে ওঠেন।
গাড়িটি ভবনের ফটকের কাছে আসতেই ১০-১২
জন সাদা পোশাকধারী লোক এসে ইটিভির
চেয়ারম্যানের পরিচয় জানতে চান। পরিচয়ের
ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর এসব
ব্যক্তি সালামকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন।
এতে অস্বীকৃতি জানান চেয়ারম্যান। পরে তাঁর
গাড়ির চালককেও নামতে বলা হয়।
অস্বীকৃতি জানালে চালককে জোর
করে গাড়ি থেকে নামানো হয়। এরপর গাড়িসহ
ইটিভির চেয়ারম্যানকে নিয়ে যান ডিবি পরিচয়
দেওয়া ওই ব্যক্তিরা।