গত ৭ মাস ধরে মাত্র একজন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে চলছে মেহেরপুর বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়েছে ক্লিনিকটি। আর ডাক্তার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যক্ষ্মা ও বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা।
‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এই কথার ভিত্তি নেই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসলেও মেহেরপুর জেলায় উপেক্ষিত এই স্লোগানের বাস্তবতা। গত ৭ মাস ধরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি। মাত্র একজন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে কোন রকমে চালানোর চেষ্টা করা হলেও, তাকেও ঠিকমতো পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এতে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের।
ক্লিনিকটিতে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই দক্ষ টেকনিশিয়ান। রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করছেন অফিস সহকারীরা।
এদিকে বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও ডাক্তার নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানালেন জেলার সিভিল সার্জন।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. ইসমাইল ফারুক বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং আমরা কর্তৃপক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়েছি সহসাই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
১৯৬৫ সালে স্থাপিত এই ক্লিনিকটিতে বর্তমানে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে।