ইরান পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ দেশ এবং বেশিরভাগ পরমাণু বিশেষজ্ঞরই সমর্থন আছে দাবি করে এ নিয়ে সমালোচনাকারীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পারলে এ পরমাণু সমঝোতার ভালো কোন বিকল্প প্রস্তাব হাজির করারও চ্যালেঞ্জ দেন তিনি।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় দফায় দফায় আলোচনার পর গেল মঙ্গলবার তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় ইরান ও ছয় বিশ্ব শক্তি। চুক্তির আওতায়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করে আনা এবং বিনিময়ে ইরানের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে শিথিল করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলকে সেনাবাহিনীর স্থাপনাগুলোতে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেবে ইরান। তবে প্রবেশের ব্যাপারে যেকোন অনুরোধের চ্যালেঞ্জ করতে পারবে দেশটি। চুক্তি লঙ্ঘন করলে ৬৫ দিনের মধ্যে আবারও অবরোধ আরোপ করবে পশ্চিমা বিশ্ব। এছাড়া ইরানের ওপর জাতিসংঘ আরোপিত অস্ত্র অবরোধ ৫ বছরের জন্য এবং ক্ষেপণাস্ত্র অবরোধ ৮ বছরের জন্য বহাল থাকছে।
তবে সমঝোতার পর পরই এর বিরোধিতা করেন মার্কিন রক্ষণশীলরা। সমঝোতার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নমনীয় ভূমিকতা পালন করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। আর এর জবাবে ‘ওবামা বলেন, যদি বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ আর বেশিরভাগ পরমাণু বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন যে এ চুক্তি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখবে তাহলে আপনারা কেন শুধু শুধু এর সমালোচনা করছেন। আর আপনাদের দাবি যদি ঠিকই হয়, যদি মনে হয় এটি অস্থায়ী সমঝোতা, তাহলে ভালো একটি বিকল্প আপনারাই হাজির করুন না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর সমালোচকদের প্রতি খানিকটা তিরস্কারের সুরে বলেন, ‘কূটনৈতিকভাবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা না হলে যে বিকল্পটি ছিল তাহল যুদ্ধ। শক্তি প্রয়োগ।‘
ইরান পরমাণু সমঝোতা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে জোরালো বিতর্ক হবে বলেও উল্লেখ করেন ওবামা। ইরান পরমাণু সমঝোতাটি পর্যবেক্ষণের জন্য দুই মাস সময় পাচ্ছেন মার্কিন আইন প্রণেতারা।