দাগনভূঞায় যাত্রীবাহি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী ৩ বন্ধুর করুন মৃত্যু, নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস উলটে আহত-১০ যাত্রী ।
– ঘটনাটি শোকে আর দুঃখে স্তব্ধ করে দিয়েছে তিনটি পরিবার সহ পুরো এলাকার মানুষকেই । মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা এমন বেশ কিছু কারন ছিলো, হয়তো বাস চালকের বেপরোয়া গতিও এই দুর্ঘটনার কারন হতে পারে। কিন্তু কারন যেটাই হোক অসতর্কতা আর অদক্ষতাই যে এমন নির্মম দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় কারন সেটা কিন্তু স্পষ্ট সবার কাছেই। একই সাথে চলতি পথে অসতর্কতা আর বেপরোয়া গাড়ি চালকদের জন্য একটি সতর্কবার্তাও ।
ঘটনার দিন সোমবার শেষ বিকেলের দিকে তিন বন্ধু মিলে এক মোটরসাইকেলে চেপে নোয়াখালীর দিকে যাচ্ছিলেন । তিন বন্ধুর কেও কি জানতো নিমিষেই তাদের সব কিছু উলোট পালট করে আর কয়েক মুহূর্ত পরই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের লাশ হতে হবে? না, তেমন কোন প্রস্তুতি নিয়ে তারা বের হয়নি বাড়ি থেকে। অন্য দশটা স্বাভাবিক দিনের মতই সুন্দর হতে পারতো তাদের যাত্রা। কিন্তু ভাগ্য আর অসতর্কতা যদি বলে ব্যাটে মিলে যায় কি আর করার থাকে কারো, করুন পরিণতি আসবেই।
ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফেনীর দাগনভূঞায় উপজেলার মাতুভূঞা এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় যাত্রীবাহি বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটর সাইকেলের তিন আরোহী (পরস্পর বন্ধু) নিহত হয়েছে। এসময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে অন্তত ১০ বাস যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের তাৎক্ষনিক ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দাগনভূঞা থানার ওসি আসলাম উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ফেনী থেকে নোয়াখালীগামী সুগন্ধা পরিবহনের যাত্রীবাহি বাসটি ফেনীর দাগনভূঞায় মাতুভূঞা এলাকায় পৌছলে বিপরীতদিক থেকে একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী ওমর আমজাদ রকি (২২), মেসবাউল হক রনি (২৫) ও ইমাম হোসেন সুজন (২৩) নিহত হয়। এসময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহি বাসটি উল্টে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহতরা হলো দাগনভূঞা পৌরসভার চাঁনপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে মেছবাউল হক রনি, আবদুল গফুরের ছেলে ইমাম হোসেন সুজন ও বুলবুল আহম্মেদের ছেলে ওমর আমজাদ রকি। তারা সকলে একই গ্রামের সহপাঠী ছিলেন।
আহতদের কয়েকজনের নাম জানা গেছে তারা হলেন, বাস যাত্রী পলক মজুমদার, তাপস মজুমদার, সালাহউদ্দিন, রবিউল হক, আবদুল আলিম, সবুর, মিজানুর রহমান, আবুল কালাম ।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্থ বাসটি ও মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করেছে। তবে বাস চালককে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।