২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৩২ রানের টাগের্ট স্পর্শ করে ম্যাচ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড এতোদিন দখলে রেখেছিলো দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিজেদের মাঠে প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আগেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। তাই লিগ পর্বে অজিদের কাছে ম্যাচটি গুরুত্বহীন হলেও নিউজিল্যান্ডের কাছে এ ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেয় কিউইরা। ব্যাট হাতে ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো প্রথম ১০ ওভারেই তুলে নেন ১১৪ রান।
১১তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে যান মুনরো। যাবার আগে ৬টি করে ছক্কা-চারে মাত্র ৩৩ বলে ৭৬ রান করেন মুনরো। মুনরো টি-২০ ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরি করে ফিরলেও ছোট ফরম্যাটে ৪৯ বলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ নেন গাপটিল।
২০১২ সালে ইস্ট লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসটি ছিলো গাপটিলের প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয়বারের মত ৫৪ বলে ৬টি চার ও ৯টি ছক্কায় ১০৫ রানেই থেমতে হয় গাপটিলকে। এই ইনিংসের মধ্যদিয়ে সাবেক সতীর্থ ও অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে টপকে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সবেচেয়ে বেশি রানের মালিক এখন গাপটিল।
গাপটিল-মুনরোর পর রস টেইলরের অপরাজিত ১৭, মার্ক চাপম্যানের ১৬ ও উইকেটরক্ষক টিম সেইফার্টের ১২ রানের কল্যাণে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৪৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি করে উইকেট পান টাই ও কেন রিচার্ডসন।
জয়ের জন্য ২৪৪ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে রুদ্ধমূর্তি ধারণ করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও ডি’আর্চি শর্ট। মাত্র ৫১ বলে ১২১ রানের জুটি গড়েন তারা। ২৪ বলে ৫৯ রান করা ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন নিউজিল্যান্ডের লেগ-স্পিনার ইশ সোধি। ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো চিল ওয়ার্নারের ইনিংস। অধিনায়ক ফিরে যাবার পরও একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা ঘুড়াচ্ছিলেন শর্ট। তবে তিন নম্বরে ক্রিজে গিয়ে শর্টকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ক্রিস লিন। ১৩ বলে ১৮ রান করে ফিরেন সাজঘরে। তৃতীয় উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে শর্ট ২৫ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন।
তবে দলীয় ১৯৯ রানে ম্যাক্সওয়েল ও ২১৭ রানে শর্ট ফিরে যাবার পর চিন্তায় পড়ে টিম অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অজিদের চিন্তা দূর করে দলকে জয় এনেদেন অ্যারন ফিঞ্চ। মাত্র ১৪ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ৩৬ রান করে ৭ বল বাকী থাকতেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান টিম অস্ট্রেলিয়াকে।
হ্যামিল্টনে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে নিউজিল্যান্ড। ঐ ম্যাচে জিতলেই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী হবে কিউইরা। হারলেও রান রেটে এগিয়ে থাকলে ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকবে নিউজিল্যান্ডের। অপরদিকে ফাইনালে খেলতে হলে শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পাশাপাশি রান রেটেও এগিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ডকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ২৪৩/৬, ২০ ওভার (গাপটিল ১০৫, মুনরো ৭৬, রিচাডর্সন ২/৪০)।
অস্ট্রেলিয়া : ২৪৫/৫, ১৮.৫ ওভার (শর্ট ৭৬, ওয়ার্নার ৫৯, সোধি ১/৩৫)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ডি’আর্চি শর্ট (অস্ট্রেলিয়া)।