আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশি শুটারদের যে ঐতিহ্য ২০১৪ সালে গ্লাসগোতেও তা বজায় রেখেছিলেন শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি। ১০ মিটার রাইফেলে রৌপ্য জেতেন তিনি। বাকির সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েই গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে বড় দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশন। ১৮ সদস্যের শুটিং দল যাচ্ছে এই আসরে। আগামী ৪ থেকে ১৫ই এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টে অনুষ্ঠিত হবে ২১তম কমনওয়েলথ গেমস। বাংলাদেশ অংশ নেবে অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, ভারোত্তোলন, শুটিং, বক্সিং ও কুস্তিতে।২৪শে মার্চ বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়া রওয়ানা হওয়ার কথা।
এরিমধ্যে কমনওয়েলথ গেমসের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট। খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা মিলিয়ে ৪১ সদস্যের দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দল শুটিংয়ের। ১৩ শুটারের সঙ্গে আছেন ৩ কোচ ও ২ কর্মকর্তা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ সদস্যের দল যাবে ভারোত্তোলনে। দলে ৫ ভারোত্তোলকের সঙ্গে যাচ্ছেন এক কোচ। গেমসে বাংলাদেশ কোনো পদক পেলে তা শুটিং থেকে আসার সম্ভাবনাই বেশি। এ কারণে এবার বেশ বড় একটা দলই যাচ্ছে শুটিংয়ের। ১৩ শুটার অংশ নেবেন ৮ ইভেন্টে।
দুই শুটার আতিকুর রহমান আর আবদুস সাত্তার নিনির হাত ধরে ১৯৯০ সাল অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম উড়েছিল লাল-সবুজ পতাকা। এরপর ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণ জিতে তাক লাগিয়েছিলেন বিকেএসপির ছাত্র আসিফ হোসেন খান। ২০০৬ সালে মেলবোর্ন আর ২০১০ সালে দিল্লি গেমসে পদক এসেছিল শুটিংয়ে। মেলবোর্নে আসিফ হোসেন খান আর অঞ্জন কুমার সিংহ ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের দ্বৈতে জিতেছিলেন রৌপ্য পদক। দিল্লিতে আসিফকে নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতা আবদুল্লাহ হেল বাকির হাত ধরেই গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে পদক রৌপ্য পায় বাংলাদেশ। এবার শুটিংয়ে আশা দেখছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু জানান, ‘আমরা বেশি ইভেন্টে অংশ নেবো পদক পাওয়ার বেশি সম্ভাবনার জন্য। শাকিল আহমেদ, আরমিন আশা, আতকিয়াদের নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেশি। এছাড়া দশ মিটার এয়ার রাইফেলেও পদক আসতে পারে।’
বাংলাদেশ দলে যারা
অ্যাথলেটিক: মেজবাহ আহমেদ, শিরিন আক্তার, খুরশিদা খাতুন।
বক্সিং: মো. রবিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী আব্দুল মান্নান।
ভারোত্তোলন: বিদ্যুৎ কুমার রায়, শিমুল কান্তি সিংহ, ফুলপতি চাকমা, মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, জহুরা খাতুন নিশা, ফাহিমা আক্তার ময়না।
সাঁতার: রেজাউল হোসেন বাদশা, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাহমুদুন নবী নাহিদ, নাজমা খাতুন।
শুটিং: আবদুল্লাহ হেল বাকি, শোভন চৌধুরী, রিসালাতুল ইসলাম, রাব্বি হাসান মুন্না, শাকিল আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, আরমিন আশা, আরদিনা ফেরদৌস, আমিরা হামিদ, সৈয়দা আতকিয়া হাসান, জাকিয়া সুলতানা, সুরাইয়া আক্তার, শারমীন শিল্পা।
কোচ: ক্ল্যাবসজন ক্রিস্টেনসেন, মারকো সকিফ, হোসনে আরা বেগম, গোলাম সফিউদ্দিন খান।
দলনেতা: ইন্তেখাবুল হামিদ অপু।
কুস্তি: আল আমজাদ, শিরিন সুলতানা ও তাবিউর রহমান পালোয়ান।
দলনেতা: নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।
দল ব্যবস্থাপক: ফখরুদ্দিন হায়দার।
চিকিৎসক: ডা. মো. শফিকুর রহমান।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা: হাবিবুর রহমান।