আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো বাধা নেই। ব্রিটেনের সঙ্গে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই। তবে তাকে ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চলছে।
রোববার দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৪১তম প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্ট অ্যাক্ট আইনে কিছু কিছু অপরাধীদের বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি। মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্ট অ্যাক্ট আমাদের এ দুই দেশের মধ্যেই আছে। এটা জাতিসংঘের ধার্যকৃত আইন এবং এ সহযোগিতাও এ দুই দেশের মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ মন্ত্রিসভায় খসড়া অনুমোদন পাওয়ার পর তিনটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। যেহেতু এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন, তাই আমরা সব স্টেকহোল্ডাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। খসড়া আইনে লাইসেন্সবিহীন চালকদের শাস্তির বিষয়টি ফোকাস হয়নি- এটা ঢালাওভাবে বলা যাবে না। আমরা চেষ্টা করছি সড়ক পরিবহনে এ টু জেড সব কিছু দেখার। আসছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ উত্থাপন করা হবে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য তিন-চারটা জিনিস দেখতে হয়। চালকদের প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স প্রাপ্তি, গাড়ির ফিটনেস ও সড়কের অবস্থা। এসব বিষয় দেখে শুনে একটা পরিপূর্ণ আইন করতে একটু সময় লাগছে। এ আইনে সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত যা কিছু আছে সব কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ চলছে। যেভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত ও দুঃখিত। আমি শুধু এটুকু বলব, সড়ক দুর্ঘটনার মামলা যখন আদালতে আসবে তখন অন্ততপক্ষে এমন সাজা হবে যাতে চালক ও মালিকরা বুঝতে পারবেন এরকম অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না।