একসময় প্রেমিক প্রেমিকার যোগাযোগ হতো চিঠির মাধ্যমে। তারও আগে মানুষ যোগাযোগ করতো কবুতরের মাধ্যমে বার্তা আদান প্রদান করে। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এখন এগুলোর জায়গা হয়েছে মোবাইল ফোনের ক্ষুদেবার্তাসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চ্যাটবক্সে। যোগাযোগের মাধ্যম সহজ হলেও প্রিয় মানুষটিকে ম্যাসেজ করার সময় ছোটোখাটো কিছু ব্যাপার অনুসরণ করতে হবে। চলুন দেখে নেই বিষয়গুলো কী কী?
১. এক ম্যাসেজে একসঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্ন করবেন না। একটার উত্তর পাওয়ার পরই কেবল আরেকটি প্রশ্নে যাবেন। এতে করে আপনার সঙ্গী বিরক্ত হবে না।
২. যা বলতে চান সংক্ষেপে লিখুন। এক্ষেত্রে টুইটারের মতো ১৪০ শব্দ থেকে ২৮০ শব্দের মতো রাখতে পারেন আপনার টেক্সটটি। এর বেশি হলে ম্যাসেজটি পড়তে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে আপনার সঙ্গী।
৩. টিনেজাররা ম্যাসেজের সঙ্গে অনেক ইমোজি ব্যবহার করতে পছন্দ করে। আপনি যদি কিশোর-কিশোরী না হয়ে থাকেন, তাহলে একটি ম্যাসেজে একটির বেশি ইমোজি ব্যবহার না করাই ভাল। বেশি ইমোজি অপরিপক্বতার ছাপ রাখে।
৪. টিনেজারদের মতো সারসংক্ষেপে কথা সারবেন না। কিশোর বয়সের অনেকেই ম্যাসেজে ব্যবহার করেন IDK(I don’t know), OMW(on my way)- এই ধরনের সংক্ষেপিত কথাবার্তা। কিন্তু স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী হলে ঠিক আছে, একটু বয়স হয়ে গেলে এই ধরনের সংক্ষেপিত কথাবার্তা প্রিয়জনকে ম্যাসেজে না বলাই ভালো।
৫. ম্যাসেজে ভুল বুঝাবুঝি হলে সেখানেই কনভারসেশন থামিয়ে দিন। সামনাসামনি কথা বলে বিষয়টি ফয়সালা করার চেষ্টা করুন।
৬. রাগ করা অবস্থায় কখনোই ক্ষুদেবার্তা আদান-প্রদান করবেন না। মুখ ফসকে অনেক বাজে কথা বেরিয়ে যেতে পারে।
৭. সঙ্গীর ব্যক্তিগত সময়কে সম্মান করুন। গভীর রাতে ঘুমানোর সময় ‘কি করছো? ঘুমাচ্ছো?’ এইরকম ম্যাসেজ দিবেন না। জরুরি কোনও কারণ ছাড়া খুব ভোর এবং গভীর রাতে ক্ষুদেবার্তা না পাঠানোই ভালো।