জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের বেশির ভাগ সদস্য দেশ। তাদেরকে উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি গত ৬ই ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং নিজেদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। নতুন করে আরো একটি তথ্য জানালেন তিনি। বললেন, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যে দূতাবাস স্থানান্তর হবে তা উদ্বোধন করতে তিনি নিজে সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন। ওয়াশিংটন সফরে থাকা জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বক্তব্য রাখেন।এ সময় তিনি বলেন, আমি সেখানে (জেরুজালেমে) যেতে পারি। এ বিষয়ে আমি খুবই গর্বিত। জেরুজালেম এমন একটি বিষয় যে, এটা নিয়ে বহু বছর ধরে শুধু প্রতিশ্রুতিই দেয়া হয়েছে। অনেক অনেক বছর ধরে অনেক প্রেসিডেন্ট এটা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা সবাই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিযেছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নের সাহস কখনো দেখাতে পারেন নি। আমি পেরেছি। এখন এ দূতাবাসের কাজ চলছে। আমরা শত শত কোটি ডলারের পরিবর্তে সামান্য অর্থই ব্যয় করছি। আমি মনে করি এটা হবে চমৎকার। শত শত কোটি ডলার খরচ করে তৈরি করা হলে যেমন দেখাতো তার চেয়ে সুন্দর দেখাবে এই ভবনকে। ট্রাম্প আরো বলেছেন, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দূতাবাস নির্মাণ খরচ তিনি এক শত কোটি ডলারের পরিবর্তে সামান্য অংশে নামিয়ে এনেছেন। তিনি বলেন, অনেকে আমার কাছে প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন। তারা প্রস্তাব দিয়েছেন এক শত কোটি ডলারে দূতাবাস নির্মাণ করার। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলতে পারবেন কত আবেদন আমার কাছে এসেছে এক শত কোটি ডলার খরচ করে দূতাবাস নির্মাণের জন্য।