আগামী অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। সেখানে জাতীয় নির্বাচন সামনে। তাকে সামনে রেখে এভাবে সামরিক বরাদ্দ বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছেন অনেক আইনজীবী। ফলে জাতীয় পরিষদে শুক্রবারের অধিবেশনটি অনেক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ণ এক বছরের বাজেট ঘোষণা করছে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধীদলীয় এমপিরা।একপর্যায়ে তারা ওয়াকআউট করেন। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল যখন বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন তার বক্তব্যে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেন অনেক এমপি। তবে তাদেরকে ওয়াকআউট করতে ও বিরোধিতা করা থেকে বিরত রাখে পিএমএলএনের এমপিরা। তারা মানবপ্রাচীর তৈরি করে আটকে দেন বিরোধীদলীয় এমপিদের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গি সহিংসতার জন্য পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে বিদ্যুত সংকট সমাধানে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে চীন। সেখানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং তার পরিমাণ শতকরা ৫.৮ ভাগ। এই প্রবৃদ্ধিকে আগামী অর্থবছরে ধরা হয়েছে ৬.২ ভাগ। অর্থমন্ত্রী মিফতাহ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে যখন বলতে থাকেন দেশে ঐতিহাসিকভাবে সুদের হার সবচেয়ে কম। এজন্য ব্যবসা ও শিল্পকারখানায় প্রবৃদ্ধি এসেছে। কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। তবে তার এ বক্তব্যের সময় বিরোধীদলীয় এমপিরা বাজেট পেপার ক্ষোভের সঙ্গে ছুড়ে মারেন বাতাসে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাকিস্তানে মোট ৫ লাখ ৯০ হাজার কোটি রুপির বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এর মধ্যে এক লাখ ১০ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করেছেন প্রতিরক্ষা খাতে। বিদ্যমান ৯২ কোটি রুপি থেকে শতকরা ২০ ভাগ বাড়ানো হয়েছে এই বাজেট। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তার মোট পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। তা স্থগিত করায় পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের ধাক্কা খাবে, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ফলে সরকার সামরিক খাতে বাজেট বৃদ্ধি করেছে।