চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে পারুল বেগম উরফে ‘পারুল ভাবী’ নামক শীর্ষ মাদক কারবারি ও তার সহযোগী জহুরা বেগমকে (৫৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, সিএমপি ও র্যাবের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি।
২৫ মে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সদরঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশের এক প্রেস বার্তায় জানানো হয়েছে, ২৩ মে সদরঘাট ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ যৌথভাবে মাদক স্পটের ৩০টি ঘুপচিঘর উচ্ছেদ করে দিলে এ স্পটে একদিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে মাদক বেচাকেনা। পরে বৃহস্পতিবার রাতে পারুল ল্যাঙ্গা লোকমানের কলোনিতে সহযোগীদের নিয়ে মজুদ মাদক অন্যত্র সরিয়ে নিতে গেলে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। সেখানে বিপুল সংখ্যক মাদকদ্রব্যসহ পারুল গ্রেফতার হয়।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে মাদকের আখড়া বরিশাল কলোনির ফারুক-ইউসুফ গ্রুপের নারীসদস্য হিসেবে বাংলা মদ, গাঁজা বিক্রি করতেন পারুল। চট্টগ্রামে এখন ইয়াবা, হেরোইন পাচারের অন্যতম শীর্ষ কারবারি তিনি। চট্টগ্রামে মাদক বাণিজ্যের পুরো নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করে পারুল বর্তমানে কোটিপতি। বাড়ি, গাড়ি, বিপুল পরিমাণ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স ও সম্পত্তি রয়েছে তার।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, বরিশাল কলোনি ও মালি কলোনিতে মাদক বেচাকেনা ও সেবনের যেসব ঘুপচিঘর রয়েছে, তার মধ্যে একটি গিরা পারুলের। তা পারুলের গিরা নামে পরিচিত।
সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) অলক বিশ্বাস জানান, পারুল বরিশাল কলোনির মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীদের কাছে ‘পারুল আপা’ ও ‘ভাবী’ নামে পরিচিত। ১২ বছর আগে তিনি মাদকের ব্যবসার সাথে জরালেও এই প্রথম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন।
বর্তমানে পারুলের অধীনে ৪০ নারী মাদক বিক্রেতাসহ আরও ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর আছে, যাদেরকে মাদক বহনে কাজে ব্যবহার করা হয়। তাদেরকে দৈনিক ১০০ টাকা করে বেতন দেওয়া হয় বলে জানান অলক বিশ্বাস।