লক্ষ্য ১৭৯ রান। ওপেনার শেন ওয়াটসনের তাণ্ডবে ১৮তম ওভার শেষেই জয়ের কাছাকাছি চেন্নাই সুপার কিংস। যদিও জয়সূচক রানটি তার ব্যাট থেকে আসেনি। ইনিংসের ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে চার হাঁকিয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত সেই জয় এনে দেন আম্বাতি রাইডু।
বলটি সীমানা ছাড়া হতেই দৌড়ে মাঠে ঢুকে পড়েন চেন্নাইয়ের খেলোয়াড়রা। আসবেই বা না কেন? দুই বছর নির্বাসিত থাকার পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিল) ফিরেই যে শিরোপা জয়। তার ওপর এটা আবার চেন্নাইয়ের তৃতীয় শিরোপা জয়। সব মিলিয়ে দলটির উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধভাঙা।
অবশ্য সব ছাপিয়ে এখন আলোচনায় ওয়াটসন। না ফাইনালে করা তার ঝড়ো সেঞ্চুরির জন্য নয়, বরং দলের জয়ের পর তার কান্না ছুঁয়ে গেছে সমর্থকদের মন।
ইমরান তাহিরকে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন ওয়াটসন। ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, ফাইনাল জয়ের পর কাঁদছেন ৩৭ ছুঁইছুঁই এই ‘বুড়ো’ ক্রিকেটার। অবশ্য এটা পুরোপুরি স্পষ্ট নয় যে, সত্যিই ওয়াটসন কেঁদেছিলেন কি না। ছবিগুলো খালি চোখে দেখলে মনে হতেই পারে, চোখের পানি না হয়ে সেটা ঘামও হতে পারে।
সেঞ্চুরিয়ান ওয়াটসন ম্যাচ শেষে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন ভিডিওতেও দেখা যায়, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সতীর্থ ইমরান তাহিরকে দীর্ঘক্ষণ জড়িয়ে ধরে রেখেছিলেন ওয়াটসন। ওই সময় কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন চেন্নাইয়ের এই অজি ক্রিকেটার। হয়তো ওই মুহূর্তের ছবিকেই তার কান্না বলে অভিহিত করছেন সমর্থকরা।
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা ওয়াটসনকে ১১তম আসরে ৪ কোটি রুপিতে দলে ভেড়ানোর পর অনেকেই বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, তিনি বুড়ো হয়ে গেছেন। তবে ২২ গজের লড়াইয়ে ৩৬ বছর বয়সেও ছিলেন দুর্দান্ত।
ফাইনালের মঞ্চে সেঞ্চুরি হাঁকানোর আগে লিগপর্বের এক ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেন তিনি। দুই সেঞ্চুরি ও দুই হাফসেঞ্চুরিসহ এই আসরে তার সংগ্রহে ছিল ৫৫৫ রান। আসরের শুরুর বিতর্ককে যেন তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়াটসন।