প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা নিয়ে ‘হুমকি’ থাকায় রাজ্যগুলোকে নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব কাছাকাছি কেউ আসতে পারবেন না, এমনকি মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাও নন। আজ মঙ্গলবার ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব রাজ্যের পুলিশপ্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে—এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সব এজেন্সিকে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনএসসির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, ‘হুমকি সব সময়ই ছিল। তবে নতুন এই নকশার হুমকির কারণে আমরা সব এজেন্সিকে সতর্ক করে দিচ্ছি।’
লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শেষ করে ফেলতে হবে—এমনই পরিকল্পনা করেছে মাওবাদীরা। সম্প্রতি পুনে পুলিশের হাতে মাওবাদীদের এমনই এক গোপন চিঠি পৌঁছেছে। ওই চিঠির মাধ্যমে পরিকল্পনার কথা জেনেছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর ‘রোড শো’কে টার্গেট করেছে মাওবাদীরা। ‘রাজীব গান্ধী টাইপ ঘটনা’ ঘটানো হবে—এমন কথা জানা যায় ওই চিঠির মাধ্যমে।
সূত্র বলছে, উচ্চ হুমকির কারণে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর রোড শোর পরিকল্পনা বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) মাধ্যমে মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেখা করার ব্যবস্থা করা হবে। মোদির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে এই এসপিজি। এসপিজির সব কর্মীকে নতুন নিয়মের বিষয়ে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘনিষ্ঠভাবে কোনো ব্যক্তির যাওয়ার অনুমতি নেই। বিষয়টি খুব কঠোরভাবে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত এপ্রিলে মোদিকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে লেখা ওই চিঠি হাতে পড়ে পুনে পুলিশের। চিঠিটি কে লিখেছে, তা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা চলছে।