ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থার (ইউয়েফা) বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন না। এবার ফিফার বর্ষসেরা ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও জায়গা হলো না লিওনেল মেসির। তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লুকা মদরিচ ও মোহাম্মদ সালাহ। ১২ বছর পর ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বাদ পড়লেন মেসি। ২০০৬ সালের পর থেকে কখনোই এই পুরস্কারের সেরা তিনের বাইরে ছিলেন না তিনি। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি ছাড়াও সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়নি ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী দলের কোনো সদস্যের। জুলাইয়ে জুভেন্টাসে পাড়ি জমানো রোনালদো ও মদরিচ রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত মৌসুম দারুণ কাটান। ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে মাদ্রিদিস্তাদের টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ে বড় অবদান ছিল এই দু’জনের।চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ছাড়া ক্লাবটির হয়ে গত মৌসুমে ইউয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাও জেতেন তারা। আর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের ইতিহাসও গড়েন রোনালদো। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে টানা ষষ্ঠবারের মতো সেরা গোলদাতা হন ৩৩ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা। গড়েন প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে টানা ১১ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড। মোট ১৩ ম্যাচে করেন ১৫ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করান তিনটি। আর ঘরোয়া লীগে ২৭ ম্যাচে করেন ২৬ গোল। রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে করেন অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেটা সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড। রাশিয়ায় মদরিচের পথচলা তুলনামূলক ছিল আলো ঝলমলে। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলতে রাখেন সবচেয়ে বড় অবদান। জিতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’। আর গত বছরের জুলাইয়ে রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দেয়া সালাহ’র অ্যানফিল্ডের অভিষেক মৌসুমটা ছিল এক কথায় অসাধারণ। অলরেডদের জার্সি গায়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেন ৪৪ গোল। দলকে তোলেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে। তবে, রিয়ালের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ের শুরুতেই চোট পেয়ে ছিটকে পড়েন তিনি, দলও পারেনি ইউরোপ সেরা হতে। এবারের ইউয়েফা বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও ছিলেন এই তিন জন।
গত সপ্তাহে রোনালদো ও সালাহকে হারিয়ে পুরস্কারটি জিতে নেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মদরিচ। বর্ষসেরা ফুটবলার নির্ধারণে সমান ২৫ শতাংশ করে অবদান রাখেন ফুটবল বিশ্বের সব জাতীয় দলের অধিনায়ক, কোচ, বিশ্বজুড়ে ফিফা নির্বাচিত সাংবাদিক ও অনলাইনে ফুটবলপ্রেমীরা। আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর লন্ডনে ফিফার অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।