পাকিস্তান হবে ৫ম পারমাণবিক শক্তিধর!

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের মধ্যে ৫ম স্থানে উঠে আসতে পারে পাকিস্তান। বর্তমানে তাদের কাছে আছে ১৪০ থেকে ১৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র। ১৯৯৯ সালে এমনটাই বলেছিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ দাঁড়াতে পারে ২২০ থেকে ২৫০টি, যদি বর্তমানের ধারা অব্যাহত থাকে। ‘পাকিস্তানি নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ২০১৮’ রিপোর্টে এমনটা বলেছেন হ্যান্স এম ক্রিস্টেনসেন, রবার্ট এস নোরিস ও জুলিয়া ডায়মন্ড। তারা বলেছেন, যদি বর্তমানের এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে ৫ম দেশ হতে পারে পাকিস্তান। ওই রিপোর্টের প্রধান লেখক ক্রিস্টেনসেন হলেন ওয়াশিংটনে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস-এর সঙ্গে যুক্ত নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক। ওই রিপোর্টে তারা বলেছেন, পাকিস্তানের বেশ কিছু সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটেছে।রয়েছে চারটি প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের চুল্লি। তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরন ব্যবস্থা বিস্তৃত করছে। এসবের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বাড়তে পারে। এতে আরো বলা হয়, যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়টি অব্যাহতভাবে বিস্তৃত করছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গ্যারিসন ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া বহু সংখ্যক ছবির বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেগুলো দৃশ্যত মোবাইল লঞ্চার, ভূগর্ভস্থ কোনো স্থাপনা, যার সঙ্গে থাকতে পারে পারমাণবিক শক্তির সম্পর্ক।  ওই রিপোর্টের লেখকরা বলেছেন, কি পরিমাণ অস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে তা অনেক ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ফ্যাক্টর হলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম কতগুলো লঞ্চার পাকিস্তান মোতায়েন করতে চায় এবং ভারত কি পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *